বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এই মরশুমের পরেই আরসিবির অধিনায়কত্ব ছাড়তে চলেছেন কোহলি একথা আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন তিনি। সেই সূত্র ধরে গতকালের এলিমিনেটরই ছিল অধিনায়ক হিসেবে তার শেষ ম্যাচ। তবে এই ম্যাচেও হতাশাই সঙ্গী হল বিরাটরাজের। ম্যাচের একেবারে শেষ ওভারে ২ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। ফলতো নিজের অধিনায়কত্বের ট্রফি জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল বিরাটের। তবে শেষ ম্যাচেও তাকে নিয়ে বিতর্ক কিছু কম হল না। আম্পায়ারের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ায় বিরাটের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেন প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার সুনীল গাভাস্কার।
ঠিক কি ঘটেছিল কালকের ম্যাচে? এদিন প্রথম ব্যাট করে কলকাতার সামনে ১৩৯ রানের টার্গেট রেখেছিল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। আম্পায়ারের সঙ্গে মতবিরোধের এই ঘটনা ঘটে আরসিবির বোলিং চলাকালীন। সপ্তম ওভারে বল করছিলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ব্যাটসম্যান ছিলেন রাহুল ত্রিপাঠী। এমন সময় চাহালের গুগলি আছড়ে পড়ে রাহুলের প্যাডে। আম্পায়ার বীরেন্দ্র শর্মা অবশ্য রাহুলকে আউট দেননি। এরপর উইকেটকিপারকে কোহলি জিজ্ঞেস করেন, বল সোজাসুজি প্যাডে লেগেছিলো তো? তার থেকে গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে রিভিউও নেন তিনি।
ভিডিওতে দেখা যায়, বল সোজাসুজি আছড়ে পড়ছে উইকেটে। আর তাই নিজের সিদ্ধান্ত বদলাতে হয় আম্পায়ার বীরেন্দ্র শর্মাকে। রিপ্লে দেখার পরেই আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন কোহলি। বেশ কিছুক্ষণ তাকে আম্পায়ারের সঙ্গে উঁচু গলায় কথা বলতে দেখা যায়। যদিও শেষমেষ হাসি দিয়েই সমাপ্ত হয় এই বিতর্ক। তবে কোহলির এমন আচরণ মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। আম্পায়ারের সঙ্গে এই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার জন্য একদিকে যেমন তাকে সমালোচনার কাঠগড়ায় তুলেছেন নেটিজেনরা। তেমনি এ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেয় প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কারও।
সেসময় ম্যাচের ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন সুনীল। কোহলির এই আচরণ দেখে তিনি বলেন, “যদি আম্পায়ার আরসিবি অধিনায়কের কাছে নিজের সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করতে গিয়ে থাকেন তাহলে এটা ভুল ছিল। কারণ তার এটা করার কোন দরকার ছিল না। সে তার সিদ্ধান্ত ঠিক ভুল যাই হোক না কেন!”