বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেখতে দেখতে পুজো শেষের মুখে। শেষের দুটো দিনের আনন্দ চেটেপুটে উপভোগ করতে তৈরি বাঙালি। অপরদিকে শহরের এই উন্মাদনা থেকে অনেকটা দূরে এবারের পুজোটা কাটাচ্ছেন অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় (bhaswar chatterjee)। এখন তিনি কাশ্মীরে। সেখানে ক্ষীর ভবানী মন্দিরে পুজো দিয়েই দূর্গাপুজো সেলিব্রেট করলেন ভাস্বর।
গত এপ্রিল মাসেই কাশ্মীর গিয়েছিলেন অভিনেতা। এবার পুজোয় ফের আরেকবার। এবারে সঙ্গে রয়েছেন বাবাও। তবে কাশ্মীরে আসার নেপথ্যে দুটো কারণ রয়েছে ভাস্বরের। ক্ষীর ভবানী মন্দিরে অষ্টমীর দিন পুজো দেওয়া এবং অপরটি হল, এক বন্ধুর কাকার বিয়েতে কাশ্মীরি গান গাওয়া। সেই বন্ধু নাকি তাঁর কাকার বিয়ের অনুষ্ঠানে ভাস্বরকে নিমন্ত্রণ করে তাঁর কণ্ঠে কাশ্মীরি গান শুনতে চেয়েছেন।
ভাস্বর জানান, বাঁকুড়ায় তাঁদের দেশের বাড়িতে দূর্গাপুজো হয়। ৭৯ বছরের পুরনো এই পুজো। তবে এবারে তাঁর বাড়ির পরিবেশ অন্য রকম। গত মে মাসেই পরিবারে ঘটে গিয়েছে এক অঘটন। তুতো দাদাকে হারিয়েছেন ভাস্বর। ভারী মন নিয়ে কারোরই পুজোয় থাকার ইচ্ছা নেই এবারে। তবু ঘরের মেয়েকে তো ফিরিয়ে দেওয়া যায় না। তাই স্বল্পসংখ্যক আত্মীয়দের নিয়েই নমো নমো করে পুজো সারার পরিকল্পনা ছিল অভিনেতার।
কিন্তু হঠাৎ করেই কাশ্মীর যাওয়ার প্ল্যানটা ছকে ফেললেন ভাস্বর। অষ্টমীতে ক্ষীর ভবানীর মন্দিরে পুজোও দিয়েছেন তিনি। আপাতত ভূস্বর্গের নৈস্বর্গিক দৃশ্য উপভোগ করছেন অভিনেতা।
আগে ভাস্বর জানিয়েছিলেন, এবারে পুজোর কেনাকাটাও করেননি তাঁরা কেও। শুধু মায়ের কথা রাখতে ষষ্ঠীতে নতুন জামা পরবেন। আর অষ্টমীতে জোড় পরে দেবেন অঞ্জলী। ভাস্বরের এক কাশ্মীরি ভাই নিজে হাতে কাশ্মীরি শাড়ি তৈরি করে উপহার পাঠিয়েছেন। ওই শাড়িই পুজোতে পরানো হবে দেবীকে।