এই গ্রামে থাকেন শুধু মহিলারাই, পুরুষ প্রবেশে রয়েছে চূড়ান্ত নিষেধাজ্ঞা! কারণ জানলে অবাক হবেন

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আজ আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস (international day of rural women) অর্থাৎ গ্রামীণ মহিলাদের দিন। এই দিনেই আপনাদের এমন এক গ্রামের কথা বলব, যেখানে পুরুষ প্রবেশ নিষেধ। কোনভাবেই সেখানেই পুরুষদের প্রবেশের অধিকার নেই। রয়েছে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা। যদি কেউ জোর করেও ঢোকার চেষ্টা করে থাকে, তাহলে গ্রামের মহিলারা তাঁদের নিজস্ব স্টাইলে তাঁকে শাস্তি দিয়ে থাকে।

‘দ্য গার্ডিয়ান’ কেনিয়ার এই উমোজা গ্রামের অধিকাংশ মহিলাই ধর্ষণের শিকার। যারা নিজেদের জীবনে অনেক সংগ্রামের পর বিভিন্ন রকমের নির্যাতনের মুখোমুখি হয়েছেন। গ্রামের জেনি জানিয়েছেন, ১৯৯০ সালে প্রথমে ১৫ জন মহিলা এখানে থাকতে এসেছিলেন। তাঁরা সকলেই ব্রিটিশ সৈন্যদের লালসার শিকার হয়েছিলেন, ধর্ষিত হয়েছিলেন ব্রিটিশ সৈন্যদের হাতে।

bbbb

নিজের গল্প বলতে গিয়ে জেনি জানান, ‘সেদিন পশু চড়াতে গ্রামের বাইরে যেতে গিয়ে ব্রিটিশ সৈন্যরা আমাকে আক্রমণ করে। তাঁরা ৩ জন এক এক করে আমাকে ধর্ষণ করে। এরপর এই ঘটনার কথা আমার স্বামীকে জানালে, সেও উলটে আমাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। তারপর শারীরিক এবং মানসিক ভাবে আহত হয়ে আমি সন্তানদের নিয়ে এখানে চলে আসি’।

আবার প্রায় বছর ছয়েক আগে জুডিয়াকে এখানে পালিয়ে চলে এসেছিল। তাঁকে জোর করে তাঁর বাড়ি থেকে বিয়ের নাম করে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল।

নিজে পুরুষের হয়রানির শিকার হয়ে মহিলাদের জন্য একটি পৃথক গ্রাম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন রেবেকা লোলোসোলি। তিনি জানান, ‘গ্রামের মহিলাদের তাদের অধিকার সম্পর্কে বলেছিলাম আমরা। কিন্তু গ্রামের পুরুষরা এটা পছন্দ করেনি এবং একটি দল তৈরি করে আমাকে অনেক মারধর করে। বেশ কয়েকদিন আমি হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম’।

kbcbcb

এরপর তিনি আরও জানান, ‘ওই গ্রামের মহিলাদের নিজেদের কথা বলার এবং কিছু করার অধিকার ছিল না। তাই আমি মহিলাদের জন্য একটি পৃথক গ্রাম তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিই। সেইসঙ্গে আমিও এখানে চলে আসি এবং নারীদের জন্য একটি পৃথক এবং নতুন জগৎ গড়ে তুলি’।

এই গ্রামে প্রায় ৪৭ জন মহিলা এবং ২০০ জন শিশু রয়েছে। যদি কারো ছেলে সেখানে মায়ের সঙ্গে থাকে, তখন তাঁর ১৮ বছর বয়স হয়ে গেলে গ্রামে আর রাখা হয় না। তাঁদের গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়। সম্প্রতি সময়ে এই গ্রাম একটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে এবং সেখানে বহু পর্যটক সেখানে ভ্রমণের জন্যও আসেন।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর