বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পুজো শেষ হতেই এক নতুন রূপে ধরা দিলেন মদন মিত্র (mdan mitra)। ফেসবুক লাইভে এসে হুঁশিয়ারি দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। পরনে পাঞ্জাবি। আর কালো পাঞ্জাবির উপর সোনালি জরির কাজ। সেইসঙ্গে চোখে তাঁর সিগনেচার রঙিন চশমা।
সন্ধ্যের দিকে বিজয়া সারতে যাওয়ার আগেই লাইভে এলেন মদন মিত্র। অভিযোগ উঠেছে, কিছু প্রোমোটার কামারহাটির মেঘনাদ মাঠকে কংক্রিটের জঙ্গলে পরিণত করতে চাইছে। সেই বিষয়ে পুলিশকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করান তৃণমূল বিধায়ক। হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাবেন বলেও।
লাইভে তিনি বলেন, ‘আমি মদন মিত্র বলছি, মেঘনাদ মাঠের দিকে যেই হাত বাড়াক না কেন, তাঁর পাঞ্জা কেটে দেব আমি। কামারহাটির বোম্বিং বন্ধ করেছি আমি। এরা তো ছোটখাটো চুনোপুঁটি। কেউ বেঁকে গেছে, কেউ ল্যাংড়া, কার প্যানক্রিয়াস, কার ক্যানসার– ভগবানের মার খেয়েও লোভ এখনও গেল না! জিভ এখনও লকলক করছে। আমি কিন্তু সিপিএমের আমলে জলা জমি ভরাট করে ওঠা বহুতল, আদালতের অর্ডার এনে ভেঙে দেব’।
মদন মিত্রের প্রায় ৬ মিনিটের ফেসবুক লাইভের পর দলের ব্যারাকপুর-দমদম সাংঠনিক জেলা সভাপতি তথা নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিককে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মেঘনাদ মাঠ দখল করে নেওয়ার কোন খবর নেই’। সেইসঙ্গে মদন মিত্রের পাঞ্জা কেটে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়াটাও ভালো মনে নেননি তিনি।
পার্থ ভৌমিকের এমন মন্ত্যব্যের পর ফের লাইভে আসেন মদন মিত্র। লাইভে এসেই তিনি বলেন, ‘এমন চ্যালেঞ্জিং কথাবার্তা বলতে শিখেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। তবে পাঞ্জা কেটে নেওয়ার কথা প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। আদ্যাপীঠ আর দক্ষিণেশ্বরের মাঝে কোন অনাচার সহ্য করব না। পার্থ ভৌমিক সবই জানেন। কামারহাটি-বেলঘরিয়ায় যা রাঘব বোয়াল আছে, তা তাঁর নৈহাটি-ভাটপাড়ায়ও নেই’।