বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে থাকার পর কিছুদিন আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয় (babul supriyo)। তবে দলবদলের সঙ্গে সঙ্গেই জানিয়েছিলেন, গেরুয়া শিবিরের সাংসদ পদ ধরে রাখবেন না, সেই পদ থেকে দেবেন ইস্তফা। এবার সময় হয়েছে ইস্তফা দেওয়ার।
জানা গিয়েছে, স্পিকার ওম বিড়লার পক্ষ থেকে ১৯ শে অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় সময় দেওয়া হয়েছে বাবুল সুপ্রিয়কে। এই সময়ে তাঁকে সেখানে উপস্থিত থেকে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। পূর্বে একাধিকবার চিঠি লিখে সময় না পেলেও, এবার বাবুলকে সময় দিলেন স্পিকার।
হিসেব মত মঙ্গলবারই দিল্লী গিয়ে বিজেপির সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এরপর আসানসোলে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হবে। সেখানে কাকে নতুন প্রার্থী করে তৃণমূল এবং বিজেপি সেটা দেখার জন্যই অপেক্ষা করছে বঙ্গবাসী।
দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত থাকার পর দুবারের সাংসদ হওয়ায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অত্যন্ত ভরসার স্থল হয়ে উঠেছিলেন গায়ক বাবুল সুপ্রিয়। ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে পূর্ত মন্ত্রীও। কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে বিধায়ক পদে দাঁড় করিয়েছিল বিজেপি। জয়ের বদলে বিরোধীপক্ষের প্রার্থীর কাছে বিরাট ব্যাবধানে পরাজিত হন তিনি।
ধীরে ধীরে শুরু হয় দলের সঙ্গে দূরত্ব। এরপরই পূর্ণ মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও, তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আসন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, নিয়ে আসা হয় নতুন মুখ। আর তারপর থেকেই শুরু হয় জল্পনা কল্পনা। অবশেষে গত ১৮ ই সেপ্টেম্বর বিজেপিকে বড় ধাক্কা দিয়ে যোগ দেন তৃণমূলে এবং যাওয়ার সময় বলেছিলেন গেরুয়া শিবিরের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি।
সেই কারণেই দিল্লী পড়ি দিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে ইস্তফা না দিয়েই ফিরে আসছেন বর্তমান তৃণমূল সদস্য। বাবুল সুপ্রিয় জানান, ‘এই বিষয়ে আমি স্পিকারের কাছে ২৩ তারিখ সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু তা না পেলেও, আগামীতে স্পিকার কবে সময় দিতে পারবেন, তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তাও ৭ দিন অপেক্ষা করেছি। তবে এরপর সবটাই ওনার উপর নির্ভর করছে। লোকসভার স্পিকারের সুবিধা মত আমাকে সময় দিলে, তখন আবার আসতে হবে’। এই বিষয়ে পরবর্তীতে নানা জলঘোলা হওয়ার পর অবশেষে মঙ্গলবার স্পিকারের থেকে ডাক পেলেন বাবুল সুপ্রিয়।