বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় ‘লক্ষ্মী ভাণ্ডার’ (Lakshmir Bhandar) নিয়ে এক বড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কথা মত ইতিমধ্যেই রাজ্যের মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে শুরু করেছে সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসের টাকা। এরই মধ্যে এই বিষয়ে এক বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
একুশের নির্বাচনের পূর্বে প্রচারের মঞ্চ থেকে বাংলার মহিলাদের স্বনির্ভর করার জন্য ‘লক্ষ্মী ভাণ্ডার’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর ক্ষমতায় এসেই শুরু হয় কাজ। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে জমা নেওয়া হয় ‘লক্ষ্মী ভাণ্ডার’ প্রকল্পের ফর্ম।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রায় ২ কোটি মহিলা এই প্রকল্পে আবেদন করেছেন। আর ইতিমধ্যেই প্রায় ১ কোটিরও বেশি মহিলার অ্যাকাউন্টে পৌঁছে গিয়েছে দুমাসের টাকা। যাতে করে রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় ১০৮২ কোটি টাকা। আর বাকি থাকা ৫৯ লক্ষ মহিলার অ্যাকাউন্টেও টাকা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (H R Dwibedi)।
এই প্রকল্পের আয়ত্তায় আসার জন্য পূর্বে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিবারের বয়স্ক মহিলার নাম থাকবে। তবে যদি কোন পরিবারে ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে ৩ জন মহিলা থাকেন, এবং তাঁদের নামে স্বাস্থ্যসাথী যদি না থাকে, তাহলে অভিভাবকের নামে থাকা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিয়েও ”লক্ষ্মী ভাণ্ডার”-এ আবেদন করা যাবে’।
তবে বর্তমানে এই নিয়মে বেশকিছুটা বদল এনেছে সরকার। শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swasthyasathi Card), আধার কার্ড (Aadhar Card), এসসি/এসটি সার্টিফিকেট না থাকলেও, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ (Lakshmir Bhandar)-এর আবেদন করতে পারবেন। পরবর্তীতে আবেদনকারীর এইসকল কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা আছে কিনা, তা বিচার করে অর্থ দেওয়া হবে।