বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশের (bangladesh) দুর্গা পুজো মন্ডপে কোরান রাখার যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে এত বড় সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়েছিল, অবশেষে সেই ঘটনার অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, নিজের এই অপরাধ পুলিশের কাছে স্বীকার করলেও, কার প্ররোচনায় এমন কাজ করেছে, সেবিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
কুমিল্লা পুলিশের হাতে সেই ঘটনার সিসিটভি ফুটেজ আসার সঙ্গে সঙ্গেই ইকবালকে চিহিন্ত করে তাঁকে খোঁজার চেষ্টা চালাতে থেকে পুলিশ। আর তার ফলেই বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত থেকে ইকবাল হোসেনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
এই ঘটনায় কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ লাইনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ইকবালকে। এরপর জেরার সে এই কোরান রাখার বিষয়টা স্বীকার করে নেয়। তবে এই ঘটনার পেছনে কারো কোন ষড়যন্ত্র আছে কিনা, সেবিষয়ে এখনও অবধি কিছু জানা যায়নি।
বাংলাদেশে দুর্গা অষ্টমীর দিন কুমিল্লা মহানগরীর নানুয়ার দিঘিরপাড় পুজোমণ্ডপে কোরনা রাখার বিষয়ে নিয়ে শুরু হয় হিংসার আঘাত। ক্ষতবিক্ষত করে দেওয়া হয় প্রতিমা। এরপর একাধিক প্যান্ডেলে ভাঙচুর, প্রতিমা ভেঙে দেওয়া, মন্দিরে আঘাত, ইসকনের মন্দিরে হামলা সবমিলিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বিরাজ করছিল বাংলাদেশ।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় ৯ মামলায় ৭৯১ জনকে গ্রেফতার করে হাজতে ভরা হয়েছে। কোতোয়ালি মডেল থানায় পাঁচটি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দু’টি এবং দাউদকান্দি ও দেবীদ্বার থানায় একটি করে মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি ৯১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলায় ৭০০ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে দোষী করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।