বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে বঙ্গ রাজনীতিতে তৃণমূল (tmc) ঠিক যে অবস্থায় রয়েছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে ঠিক একই অবস্থায় বিরাজ করছিল বিজেপি (bjp)। সেইসময় বিজেপির বাংলা জয়ের কান্ডারি হতে দলে দলে কোমর বেঁধে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে তৃণমূলত্যাগীরাও।
তবে নির্বাচনে শেষে বিজেপির ভরাডুবির পর ঠিক উলটোটাই দেখা যেতে লাগল। বর্তমান সময়ে বিজেপি ছেড়ে একে একে আবারও ফিরছেন তাঁদের পুরনো আশ্রয়ে। একদিকে যেমন ঘর ওয়াপসি হয়েছেন অনেকেই, তেমনই আবার এমন অনেকেই আছেন যারা শুরু থেকে বিজেপি কিংবা কংগ্রেস করলেও, বর্তমানে এসে হাত ধরেছেন তৃণমূলের। চলতি সময়ে তৃণমূলের অবস্থা কিছুটা, ঘড়া ভরে উপছে যাওয়ার মত।
তৃণমূলের এই পরিস্থিতি দেখেও কিন্তু বেশকিছু পুরনো নেতৃত্বরা কিছুটা হলেও ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ছেন আবার শীর্ষ নেতৃত্বদের উপর। ঠিক এইসময় সকলের উদ্দেশ্যেই তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (abhishek banerjee)।
শনিবার খড়দহ উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নেত্রীর পায়ে ধরে আমি অনুরোধ করেছি, মর্যাদা দিতে হবে কর্মীদের আবেগকে। তবে যারা গদ্দার, তাঁদের কখনই তৃণমূলে নেওয়া হবে না। তবে যারা এখন দলে আসছেন, তাঁদের আগে প্রায়শ্চিত্ত করিয়ে তবেই দলে নেওয়া হচ্ছে। প্রায়শ্চিত্ত করার পরই হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিচ্ছেন তাঁরা’। অর্থাৎ এককথায় বাগদার বিশ্বজিৎ দাস, বাবুল সুপ্রিয়, সপুত্র মুকুল রায় এবং সব্যসাচী দত্তকে তৃণমূলে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টা পরিস্কার করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বর্তমান সময়ে বাংলা জয় করে সর্বভারতীয় স্তরে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৎপর তৃণমূল। সেই কারণে ত্রিপুরার একদিকে যেমন নিজেদের ঘাঁটি শক্ত করার জন্য মাটি আঁকড়ে লড়াই জারি রেখেছে, তেমনই গোয়ায় নিজেদের জায়গা করতেও বদ্ধ পরিকর সবুজ বাহিনী। সেই কারণেই বৃহস্পতিবার প্রথমবার গোয়া সফরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।