বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দেয় পুলিশ। আর তাতেই মাদক কান্ডে পাকড়াও হয় জলপাইগুড়ির (jalpaiguri) যুব তৃণমূল (tmc) নেতা কৌস্তুভ তলাপাত্র। সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছে তাঁর তিন সঙ্গীও, সৌরভ রায়, রাজু মহম্মদ এবং মিস্টার আলি। মিলেছে প্রচুর পরিমানে ব্রাউন সুগার আর সঙ্গে নগদ ৬০ লক্ষ টাকাও।
বিষয়টা হল, পুলিশের কাছে খবর ছিল জলপাইগুড়ি- শিলিগুড়ি এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরেই একটি মাদক চক্র সক্রিয় হয়েছে। আর সেই বিষয়েই খোঁজখবর চালাতে থাকে পুলিশও। অবশেষে পুলিশের হাতে পাকড়াও হয় ৪ অভিযুক্ত। অভিযোগ উঠেছে, এদের মধ্যে একজন অর্থাৎ কৌস্তুভ তলাপাত্র, জলপাইগুড়ির যুব তৃণমূল নেতা।
সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ির পোস্ট অফিস মোড় এলাকার বাসিন্দা হলেন কৌস্তুভ তলাপাত্র, জলপাইগুড়ির পিকখানা কলোনি এলাকায় থাকেন রাজু মহম্মদ। মালদহের বাসিন্দা হলেন মিস্টার আলি এবং কালীবাড়ি এলাকায় থাকেন সৌরভ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। আর ধৃতদের কাছে থেকে ৩০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়েছে এবং সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে নগদ ৬০ লক্ষ টাকাও। ধৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই ঘটনায় শাসক দলের এক নেতা জড়িত থাকায় কিছুটা অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে তৃণমূল শিবির। এই বিষয়ে জলপাইগুড়ির তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস জানিয়েছেন, ‘আমাদের দল অনেক বড় দল। আর এই দলের মধ্যে দুএক জন খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতেই পারে। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে দল ঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে’।
তবে এই ঘটনার পেছনে আর কেউ জড়িত আছে কিনা, সেবিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। আর এই মাদক কোথাই বা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এবং কোথা থেকেই বা আনা হয়েছিল, সবকিছুর তদন্ত চলছে। পাশাপাশি আরও একটি প্রশ্ন উঠে আসছে, অভিযুক্ত তৃণমূলের হওয়ায় কি সহজেই এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল তাঁরা?