বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাড়ির মাটির নিচে রয়েছে একটি সুড়ঙ্গ। আর সেখানেই ছিল বেআইনি অস্ত্র কারখানা (arms factory)। তৈরি হচ্ছিল নানা ধরনের বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই সেখানে হানা দেয় পুলিশ, আর তাতেই মেলে সাফল্য। আটক করা হয় দুজনকে। এই ঘটনায় হতবাক হয়ে যায় গোটা এলাকার মানুষজন। যদিও অভিযুক্তদের বিষয়ে এখনও কিছুই জানায়নি পুলিশ।
ঘটনাটি আসানসোলের (Asansol) হীরাপুর থানার রহমতনগর নয়াবস্তি এলাকায় ঘটেছে। সেখানকার একটি বাড়িতে অস্ত্রশস্ত্র তৈরি করার খবর ছিল পুলিশের কাছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি ওয়েস্ট অভিষেক মোদির নেতৃত্বে হীরাপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী সেই বাড়িতে হানা দেয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে এবং সেগুলো বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে। এবিষয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি ওয়েস্ট অভিষেক মোদি জানিয়েছেন, বাড়ির মালিক মহম্মদ জাভেদ পলাতক থাকলেও, তাঁর খোঁজ করা হচ্ছে। এখনও অবধি দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তদের নাম এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্রের বিষয়ে কিছুই জানায়নি পুলিশ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা তথা ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক আহমেদতুল্লা খান জানিয়েছেন, ‘ওই বাড়ির নিচে যে গোপন কুঠুরি ছিল, তা শুনেই আমরা অবাক হয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি চাইছি। অন্যদিকে এলাকায় হওয়া এইসমস্ত ঘটনায় কিছুটা হতবাক এলাকাবাসীও। তাঁদের এলাকাতেই সে এভাবে বেআইনি কারখানা চলছিল, তা তাঁরা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি বলেই জানিয়েছেন। তবে রাজ্যে আরও একটি অস্ত্র তৈরি করার কারখানার হদিশ মেলায় কিছুটা আতঙ্কিত বঙ্গবাসীও।