বাংলাহান্ট ডেস্ক: মাস কয়েক ধরে সময়টা বেশ টালমাটাল যাচ্ছে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের (sreelekha mitra)। তাঁর অভিনীত ছবি ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনীত হয়েছিল। গোটা দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন শ্রীলেখা। সেই আনন্দ এক মুহূর্তে মুছে গিয়েছে দেশে ফেরার দিন কয়েক পর। আচমকাই প্রয়াত হয়েছেন অভিনেতার বাবা। অবসাদের মধ্যেই কাটিয়েছেন দূর্গাপুজো।
কিন্তু দুঃসময় শ্রীলেখার দৃঢ়চেতা স্বভাবটাকে কাড়তে পারেনি। তার প্রমাণ মিলেছে আগেও। এবার ফের টলিউড ইন্ডাস্ট্রির ‘লবিবাজি’ নিয়ে সরব হলেন শ্রীলেখা। আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে টলিপাড়ার কয়েকজন পরিচালক প্রযোজকদের বিরুদ্ধে নাম না করে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।
শ্রীলেখা স্পষ্ট জানান, তাঁর কাছে ছবির প্রস্তাব কম আসে। কারণ তাঁর নায়িকা সুলভ হাবভাব অনেক বেশি। এমনটা অবশ্য সবাই নয়, কিছু কিছু মানুষ বলেন। সম্প্রতি পরিচালক অংশুমান প্রত্যুষের ‘নির্ভয়া’ ছবিতে কাজ করেছেন শ্রীলেখা। সেখানে জুনিয়র শিল্পীদের সঙ্গেও মেকআপ রুম শেয়ার করেছেন তিনি, শুয়েছেন মেঝেতে। শ্রীলেখা জানালেন, তাঁকে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন পরিচালক।
এর আগেই শ্রীলেখা অভিযোগ করেছিলেন, বিদেশে যে সম্মান তিনি পেয়েছেন তা নিজের শহরও তাঁকে দেয়নি। ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আন্তর্জাতিক তারকাদের সঙ্গে তাঁর অভিনীত ছবি দেখানো হয়েছে। ফিল্ম সমালোচকরাও প্রশংসা করেছেন। কিন্তু সেই সম্মান এখানে পাননি বলে দাবি শ্রীলেখার।
তাঁর কথায়, “আমি যে সত্যি বলি সেটা ইন্ডাস্ট্রিই প্রমাণ করে দেয়। আদিত্য আমাকে চিনত না। চরিত্রের জন্য উপযুক্ত মনে হয়েছে, তাই নিয়েছে। ছবি এভাবেই হয় বলে জানি। কিন্তু এমনও বলতে শুনবেন, কোনও বিশেষ দুর্বল মুহূর্তে কেউ কাউকে কথা দিয়েছিল পরের ছবিতে নেবে, সেই ভেবে চরিত্র লেখা হয়েছে। তা না হলে আমাকে আর অনন্যা চট্টোপাধ্যায়ের মতো অভিনেত্রীকে বসে থাকতে হয় কেন?”
গত বছর জুন মাসে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর নাম করে স্বজনপোষনের আভিযোগ এনেছিলেন শ্রীলেখা। তা নিয়ে বিতর্ক চলেছিল অনেকদিন। সেই ঘটনার দিন কয়েক আগেই প্রয়াত হন সুশান্ত সিং রাজপুত। অভিনেত্রী জানান, সে সময় সুশান্তের মৃত্যুটা তাঁকে নাড়া দিয়েছিল। নিজের সঙ্গে মেলাতে পারছিলেন তিনি সুশান্তকে। এমনকি আত্মহত্যা করার চিন্তাও নাকি তাঁর মাথায় এসেছিল বলে জানান শ্রীলেখা।