বাংলাহান্ট ডেস্ক: মাদক মামলায় আরিয়ান খানের (aryan khan) বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ২৫ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর (NCB) আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের (sameer wankhede) বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় চলছে বলিউড তথা রাজনৈতিক মহলে। সমীরকে NCB র পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে বলিউড পরিচালক হনসল মেহতার তরফে। বিষয়টা হাতের বাইরে যেতেই সমীরকে এই মর্মে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর তারপরেই জানিয়ে দেওয়া হয়, সমীরই তদন্ত করবেন আরিয়ান মামলার।
বুধবার NCB দফতরে প্রায় চার ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চলার পর দফতর থেকে বেরিয়ে যান সমীর। কিন্তু এদিন সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। তবে NCB র এই টিমের নেতৃত্বে থাকা ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ধ্যানেশ্বর সিং জানান, মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত কাগজপত্র জমা করেছেন সমীর। দরকার পড়লে আবারো তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে।
যতদিন না তাঁর বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে ততদিন আরিয়ান মামলার তদন্তকারী সমীরই থাকবেন। সমীরের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী প্রভাকর সইলকেও আজকালের মধ্যে NCB দফতরে এসে হাজিরা দিতে হবে। সেই সঙ্গে অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ পেশ করার কথাও বলা হয়েছে।
প্রভাকরের দাবি করেছিলেন, আরিয়ানের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে নাকি ২৫ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে আট কোটি সমীরকে দেওয়ার কথা শুনেছিলেন সইল। এরপরেই সমীর ওয়াংখেড়ে কে নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও চাপান উতোর শুরু হয়। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সমীর। আজ, বৃহপতিবার ফের বম্বে হাইকোর্টে আরিয়ানের জামিনের শুননি হবে।
এর মাঝেই পুলিসের জালে ধরা পড়েছে মামলার অন্যতম সাক্ষী কিরণ পি গোসাভি। পুণে পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে এই খবর। NCB র হাতে আরিয়ান আটক হওয়ার পরপরই দফতর থেকে একটি সেলফি ভাইরাল হয়েছিল। আরিয়ানের সঙ্গে এক ব্যক্তিকে সেলফি তুলতে দেখা গিয়েছিল। তিনিই হলেন কিরণ।
সে সময়ে মনে করা হয়েছিল ইনি কোনো NCB আধিকারিক। বিষয়টা নিয়ে শোরগোল পড়তেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয় কিরণ NCB কেউ নন। উপরন্তু দাবি করা হয় মাদক মামলার নাকি অন্যতম সাক্ষী কিরণ। যদিও এর পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। এর আগে ২০১৮ সালেও একটি প্রতারণা মামলায় নাম জড়িয়েছিল কিরণের। তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছিল পুলিস।