বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে যেমন করোনা কালে অর্থনৈতিক ধ্বস মতো ধ্বংস করে দিয়েছে বহু ভারতীয় কোম্পানিকে, তেমনই আবার বেশ কিছু স্টার্ট আপের অনবদ্য আইডিয়া এই লকডাউনে মানুষের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তেমনই একটি স্টার্টআপ হল Zepto। কুইক কমার্স গ্রসারি ডেলিভারি অ্যাপ Zepto মুম্বাইতে ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল এই লকডাউনে। Zepto-র সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এরা ১০ মিনিটের মধ্যেই অর্ডার ডেলিভারি করে। মুম্বাইয়ের মাত্র ১৯ বছর বয়সী অদিত পালিচা এবং কৈবল্য ভোহরা এই অ্যাপটি তৈরি করেছিলেন দ্রুত পরিষেবা দেবার কথা মাথায় রেখেই।
এই অ্যাপের সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এখানে অনলাইনে বাড়ির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অর্ডার করতে আপনাকে অনেক আগে থেকে অর্ডার করতে হবে না এবং শুধু তাই নয় দশ মিনিটের মধ্যেই ডেলিভারি পাবেন আপনি। এই অ্যাপটি জনপ্রিয়তা লকডাউনে এতটাই বেড়ে ছিল যে তাদের এই স্টার্টআপকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে নেক্সাস ভেঞ্চারস, গ্লোবাল প্রতিষ্ঠাতা এবং সিলিকন ভ্যালি অ্যাঞ্জেল বিনিয়োগকারী ল্যাচে গ্রুম এবং নীরজ অরোরা। পালিচা এবং ভোহরা গত বছর স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হয়েছিলেন কিন্তু এই স্টার্টআপটি দেখাশোনার জন্য এখন কোর্স ছেড়ে দিয়েছেন তারা।
এবার আরও একটি বড় পদক্ষেপ রাখল Zepto। এবার এই মুম্বাইভিত্তিক স্টার্টআপটি ইউএস ওয়াই কম্বিনেটর এবং গ্লেড ব্রুক ক্যাপিটালের মতো বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৬০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পেতে চলেছে। অর্থাৎ ভারতীয় টাকায় এর মূল্য প্রায় ৪৪৯ কোটি টাকা। রবিবার একটি অনুষ্ঠানে পালিচা জানিয়েছেন, এখন এই কোম্পানির মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২০০-৩০০ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৫ সালে এই কোম্পানিটির সম্পদ ২৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। বর্তমানে এই কোম্পানিতে কর্পোরেট কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৩০০।
এটি বর্তমানে বেঙ্গালুরু, মুম্বাই এবং দিল্লিতে উপলব্ধ হলেও আগামী দিনে কলকাতা, হায়দরাবাদ, চেন্নাই এবং পুনেতেও এই কোম্পানির শাখা তৈরি হতে চলেছে। সহ-প্রতিষ্ঠাতা পালিচা বলেন, “ভারতে ব্যবসার ক্ষেত্রে কেউই নিখুঁত নয়। আপনি যদি এই মডেলটি অনুসরণ করে এমন কিছু পুরানো কোম্পানির দিকে তাকান, তাদের বেশিরভাগই একটি বিষয়ে ফোকাস করে না। তারা একসাথে অনেকগুলি বিভিন্ন জিনিসের সাথে জড়িত হয়, যা যে কোনও সংস্থার পতনের সবচেয়ে বড় কারণ।”