বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পেঁয়াজ চাষের জন্য মাসিক মাইনে এক লক্ষ দশ হাজার টাকা, পড়াশোনারও তেমন দরকার নেই কেবলমাত্র মাধ্যমিক পাস হলেই চলবে। মাসিক বেতনের পরিমাণ শুনে যে কেউ যে লাফিয়ে উঠবেন একথা বলাই বাহুল্য। বিষয়টা কিন্তু নেহাত গল্প কথা নয়, কেরালায় ইতিমধ্যেই যুবক যুবতীদের মধ্যে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে এই অফার। বিভিন্ন দেশে-বিদেশে কেরালিয়ানদের প্রায়শই দেখতে পাওয়া যায়। তবে দক্ষিণ কোরিয়া এমন একটি জায়গা যেখানে খুব বেশি কেরালিয়ান কাজ করেন না। এবার সেই পরিসংখ্যান হয়তো বা কিছুটা বদলে যেতে পারে।
কারণ পেঁয়াজ চাষের জন্য মাসিক এক লক্ষ দশ হাজার টাকা বেতনে কর্মী খুঁজছে একটি দক্ষিণ কোরিয়ান সংস্থা। গত বুধবার তিরুবন্তপুরমে এই বিষয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল সংস্থার পক্ষ থেকে। বুধবার তিরুবনন্তপুরমে ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট প্রমোশন কনসালট্যান্ট (ওডিইপিসি) দ্বারা আয়োজিত এই সেমিনারে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এমবিএ সহ প্রায় ৭০০ জন যুবক এসেছিলেন। বেতনের পরিমাণ শুনে সকলেই এই কাজ করতে ভীষণ আগ্রহী।
বিশেষত করোনা কালে চাকরির পরিস্থিতি এখন রীতিমতো খারাপ, আর তাই ডুবতে থাকা মানুষ যেমন খড়কুটো আঁকড়ে ধরে তেমনি যেকোনও সুযোগকেই এখন আঁকড়ে ধরতে চাইছেন সাধারন মানুষ। দক্ষিণ কোরিয়ার এই কোন সংস্থা অবশ্য সেই সুযোগই দিচ্ছে। যারা সেখানে কৃষি কাজ করতে আগ্রহী তাদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া এবং দেশটির কৃষি পদ্ধতির সাথে পরিচিতির অংশ হিসেবেই এই অধিবেশনের আয়োজন করা হয়েছিল।
সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই প্রায় পাঁচ হাজার আবেদনপত্র পেয়ে গিয়েছেন তারা। যদিও বেতনের পিছনে বেশ কিছু শর্তও রয়েছে। একদিকে যেমন মাসিক ২৮ দিন কাজ করতে হবে কর্মীদের, অর্থাৎ মাসে কেবল মাত্র দুদিন ছুটি পাবেন তারা। তেমনি অন্যদিকে প্রতিদিন কাজ করতে হবে ৯ ঘন্টা। সরকারি একটি সংস্থার মাধ্যমে, দক্ষিণ কোরিয়ার সিনান এবং মুয়ান দ্বীপপুঞ্জে পেঁয়াজের খামারে কাজ করার জন্য প্রায় ১০০ জনকে নিয়োগ করবে এই সংস্থা। জানিয়ে রাখি আবহাওয়া সম্পর্কে জানাতে গিয়ে বলা হয়েছে যে কখনও কখনও তাপমাত্রা -২০ ডিগ্রীও হতে পারে। এছাড়া নিজেদের খাবার এবং থাকার জায়গার ব্যবস্থা নিজেদেরই করতে হবে কর্মীদের।