বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রতিবছর স্বাভাবিকভাবেই বহু ছাত্রছাত্রীরা এমবিএ করার স্বপ্ন দেখে। সকলেই চায় আইআইএম বা ঐ ধরনের কোন বড় ইনস্টিটিউট থেকে নিজেদের কোর্স সম্পূর্ণ করতে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই সকলে সফল হয় না। আর তখন তাদের মধ্যে কাজ করে চূড়ান্ত হতাশা, কিন্তু কথায় আছে ব্যর্থতাই হল সফলতার প্রথম ধাপ। আর এই ছোট্ট নীতিবাক্যটিকেই অসাধারণ ভাবে কাজে লাগালো প্রফুল্ল বিল্লার। ধারের একটি ছোট গ্রামের লাবরাভদার একটি ছোট্ট কৃষক পরিবারের সন্তান প্রফুল্ল স্বপ্ন দেখেছিলেন আইআইএম থেকে এমবিএ করার।
কিন্তু তিন বছর লাগাতার চেষ্টা করার পরেও কমন অ্যাডমিশন টেস্টে (সিএআইটি) উত্তীর্ণ হতে পারেননি তিনি। ক্যাট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পেরে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন প্রফুল্ল। তবে আমেদাবাদ শহর তার ভাল লেগে যায়, আর সেই কারণেই সেখান থেকেই ম্যাকডোনাল্ডসের আউটলেটে কাজ করতে শুরু করেন তিনি। ঘণ্টায় ৩৭ টাকা মাইনের চাকরি দিনের পর দিন ১২ ঘণ্টা ডিউটি করে কোনমতে চলছিল বটে তবে বড় কিছু করার ইচ্ছা রীতিমতো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল প্রফুল্লকে।
একটা সময় তিনি ঠিক করেন ছেড়ে দেবেন এই চাকরি, কিন্তু কিভাবে চলবে পেট? বাবার কাছ থেকে মিথ্যে বলে ১০ হাজার টাকা ধার করেন প্রফুল্ল। আর পড়াশোনার নামে চাওয়া এই টাকা দিয়ে খুলে বসেন একটি চায়ের স্টল। নাম দেওয়া হয় ‘এমবিএ চায়েওয়ালা’। কেউ হয়তো ভাবতেও পারেনি একদিন এই চায়ের দোকান থেকেই কোটি কোটি টাকা রোজগার করবেন প্রফুল্ল বিল্লার। এখন সারাদেশ জুড়ে প্রায় ২২ টি আউটলেট রয়েছে এই ‘এমবিএ চায়েওয়ালার’। কার্যত কয়েক কোটি টাকার মালিক এখন প্রফুল্ল।
মাত্র ১০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করা একটি চায়ের স্টল, এভাবে তার জীবন বদলে দেবে চার বছরে তিনি রোজকার করতে পারবেন কয়েক কোটি টাকা তা হয়তো ভাবাই যায় না। কিন্তু তরুণদের কাছে রীতিমতো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে প্রফুল্লর এই ব্রান্ড। প্রফুল্ল বলেন, এখন অনেকেই আমার কাছে পরামর্শ চাইতে আসে, আমি তাদের বলি, ডিগ্রি কোন ব্যাপার না। আমি যা পছন্দ করি শুধুমাত্র তাই করি।