বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দীপাবলির আগেই বড় ঝটকা পেল বিজেপি (bjp) শিবির। ২৯ টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের মধ্যে ২২ টিতে অংশ নিলেও, মাত্র ৯ টি জয়ী হয় বিজেপি। বাকি ১৩ টি আসনে ভরাডুবি হয় গেরুয়া শিবিরের। একদিকে হিমাচল প্রদেশ,অন্যদিকে বাংলা সর্বত্রই বিজেপির করুণ পরিণতিই দেখা গিয়েছে। এমনকি প্রার্থীদের জামানতও বাজেয়াপ্ত হয়েছে বেশ কিছু জায়গায়।
একটি লোকসভা এবং একটি বিধানসভা আসন খোয়াতে হয়েছে হিমাচল প্রদেশে। এমনকি পশ্চিমবঙ্গেও ৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচনে শুধু পরাজয়ই নয়, জামানত বাজেয়াপ্তও হয়েছে ৩ প্রার্থীর। তবে বিজেপির গড় বলে পরিচিত রাজস্থানের ধারিয়াওয়াদ এবং কংগ্রেসের গড় বল্লভনগর কেন্দ্রে জয়ী হয় বিজেপি।
জানা গিয়েছে, হিমাচল প্রদেশের ফতেহপুর, জুব্বল কোটখাই, আরকি এই তিন আসনেই পরাজিত হয় বিজেপি। কোটখাই আসনে ২৯৪৪৭ ভোটে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী রোহিত ঠাকুর। দ্বিতীয় স্থানে ২৩৩৪৪ ভোট পেয়ে রয়েছেন নির্দল প্রার্থী চেতন ব্রাগতা। আর মাত্র ২৫৮৪ ভোট পেয়ে জামানত বাজেয়াপ্ত হয় বিজেপি প্রার্থী নীলম সরেকের।
মান্ডি লোকসভা আসন যেটি আগে বিজেপির দখলে ছিল, সেটিতে বর্তমানে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের স্ত্রী প্রতিভা সিং কংগ্রেসের হয়ে জয়ী হন। মধ্যপ্রদেশে ৩ টির মধ্যে জোহাট এবং পৃথ্বীপুর ২ টি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে বিজেপি।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে ৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। আর ৪ টিতেই পরাজিত হয় বিজেপি। শুধু তাই নয়, শান্তিপুরে রক্ষা পেলেও, খড়দহ, দিনহাটা এবং গোসাবায় জামানত বাজেয়াপ্ত হয় বিজেপি প্রার্থীদের। শান্তিপুরের তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী জয়ী হয়েছেন ৬৩,৮৯২ ভোটে। খড়দহে ৯৩ হাজার ৮৩২ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ১ লক্ষ ৪১ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে গোসাবায় জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল। দিনহাটায় ১ লক্ষ ৬৪ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ।
আসামে ৫ টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনে সবকটিতেই এনডিএ সাফল্য পেয়েছে। ৩ টিতে বিজেপি অংশ নিলেও, মিত্র দল ইউপিপিএল নির্বাচনের দুটি আসনে দাঁড়িয়েছিল। উত্তর-পূর্ব ভারতের ১০ টি আসনের সবকটিতেই বিজেপি বা তার মিত্ররা জয়ী হয়েছে। আবার, অন্ধ্র প্রদেশের বাডভেল বিধানসভা আসন থেকে ওয়াইএসআর কংগ্রেস প্রার্থী ডঃ দাসারি জয়ী হন এবং কংগ্রেস এবং বিজেপির জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।