বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কদিন আগেই তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘কংগ্রেসকে (congress) দিয়ে আর কিস্যু হবে না। ওরাই মোদীকে শক্তিশালী করে তুলছে’। কদিন যেতে না যেতেই ঠিক এর উলটো সুর গাইলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন।
মুখ্যমন্ত্রীর আসন ধরে রাখার লড়াইয়ের আগেই দিল্লী গিয়ে সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সরকার বিরোধী জোট গড়ে তোলার লক্ষ্যে এক বৈঠক করে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রাজধানী থেকে ফিরতেই কার্যত উল্টো সুর শোনা যায় তৃণমূলের গলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দলের অন্যান্য নেতৃত্বদের গলায় শুধুই যেন শোনা যাচ্ছিল কংগ্রেস বিরোধী সুর।
এরপর কদিন আগেই গোয়া ঘুরে এলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেখানে গিয়েও কংগ্রেসের তুলোধোনা করে ফিরে এসে জানবাজারের কালীপুজোর উদ্বোধনের মঞ্চ থেকেও একহাত নিয়েছিলেন কংগ্রেসকে। তাঁর কথার উদ্দেশ্য ছিল একটাই, ‘কংগ্রেসকে দিয়ে আর কিস্যু হবে না। ওরাই মোদীকে শক্তিশালী করে তুলছে’।
মুখ্যমন্ত্রী গোয়া যাওয়ার আগে সমুদ্র পাড়ের রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বদের দিল্লী ডেকে বলা হয়েছিল, তৃণমূল বিরোধী কোন মন্তব্য না করতে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সেখানে উপস্থিত থাকাকালীন, গোয়ায় রাহুল গান্ধী গেলেও, তৃণমূল বিরোধী কোন মন্তব্য করতে শোনা যায়নি তাঁর গলায়।
তবে যেই উপনির্বাচনে ৩০ কেন্দ্রের মধ্যে আটটি কেন্দ্র বিজেপিকে হারিয়ে কংগ্রেস জয়ী হয়, ঠিক তার পরবর্তীতেই কিছুটা উল্টো পথে হাঁটল তৃণমূল। পরদিনই সবুজ শিবিরের গলায় শোনা গেল অন্য সুর। শত্রু নয়, এবার যেন বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে চাইছে তৃণমূল।
গোয়া ইস্যুতে কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করে ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘মানসিকতা বদল করার প্রয়োজন। বিরোধী রাজনীতিতে আমরা সমান অংশীদার। লড়াই না করে, আসুন আমরা একসঙ্গে কাজ করি। বিজেপিকে পরাজিত করা, এটাই আমাদের লক্ষ্য’। যদিও ডেরেকের এমন মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই হয়েছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।