বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পেট্রোল ডিজেলের চরম মূল্য বৃদ্ধির জেরে রীতিমতো পকেটের টান পড়ছে আমজনতার। যার জেরে চূড়ান্ত সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্র সরকারকেও। যদিও দীপাবলি উপলক্ষে দেশবাসীকে বড় উপহার দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। পেট্রোল এবং ডিজেলের কমানো হয়েছে আবগারি শুল্ক। একদিকে যেমন পেট্রোল এর ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক কমেছে ৫ টাকা তেমনি অন্যদিকে দুইদিনের ক্ষেত্রেও কমানো হয়েছে ১০ টাকা। একইসঙ্গে কিছু রাজ্য সরকারও ভ্যাট কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে। যার ফলে এই চরম মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে সামান্য স্বস্তি পাবে জনতা। তবে এটি কোনও স্থায়ী সমাধান নয়।
পেট্রোল-ডিজেলের ক্ষেত্রে জ্বালানির নির্ভরতা কমানোর জন্য এবার একটি স্থায়ী সমাধানের দিকে হাঁটছে কেন্দ্র সরকার। পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গডকরি জানিয়েছেন আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সমস্ত নতুন গাড়িতে ফ্লেক্স ফুয়েল ইঞ্জিন বাধ্যতামূলক করার দিকে এগোচ্ছে কেন্দ্র। নতুন করে যারা যানবাহন কিনতে চলেছেন এই সিদ্ধান্তে কিছুটা উপকারে আসবে তাদের। ফ্লেক্স ফুয়েল হল গ্যাসোলিন এবং মিথানল বা ইথানলের মিশ্রণ থেকে তৈরি একটি বিকল্প জ্বালানী। একটি ফ্লেক্স ইঞ্জিন মূলত একটি আদর্শ পেট্রোল ইঞ্জিন। আর সেই কারণে এই ইঞ্জিন ব্যবহার করলে অন্তত প্রত্যেক লিটারে অনেকটাই সাশ্রয় পাবে জনতা।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গডকরি জানিয়েছেন, আগামী ছ মাসের মধ্যেই এই নতুন নিয়ম লাগু করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। কেন্দ্র সরকার সমস্ত অটোমোবাইল কোম্পানিগুলিকে অনুরোধ করবে তারা যেন ফ্লেক্স ফুয়েল ইঞ্জিন ব্যবহার করেন। এই নিয়ম অনিবার্য হিসেবে লাগু করা হবে। এই মুহূর্তে প্রতি লিটার ইথানলের দাম ৬৫-৭০ টাকা। অন্যদিকে সিএনজিতে গাড়ি চালানোও পেট্রোল ডিজেলের তুলনায় অনেকটাই সস্তা। আর সেই কারণেই এই নিয়ম লাগু হলে পকেটের চাপ কিছুটা কমবে জনতার।
সাধারণত এক লিটার ইথানল ৮০০ গ্রাম পেট্রোলের সমান কাজ করে। এছাড়া এই বিশেষ ইঞ্জিন বৈদ্যুতিক শক্তি তথা সিএনজি, বায়ো-এলএনজিকেও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। তাছাড়া এর দূষণও পেট্রোলের তুলনায় অনেকটাই কম। বলা হচ্ছে এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ দামি পেট্রোল ও ডিজেল থেকে মুক্তি পাবেন এবং যানবাহনের জ্বালানি প্রতি লিটারে মাত্র ৬০ টাকাই খরচ করতে হবে আমজনতাকে। কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ফ্লেক্স ফুয়েল ইঞ্জিন নিয়ে নিয়মিত কথাবার্তা চলছে।