বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এবারের বিশ্বকাপ সফর মোটেই ভালো শুরু হয়নি কোহলি বাহিনীর জন্য। নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারের জেরে এই মুহূর্তে শেষ চারে যাওয়াও যথেষ্ট কঠিন হয়ে পড়েছে ভারতের পক্ষে। তবে আশার কথা এই যে গত ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বড় জয়ে তুলে নিয়েছে তারা। যার ফলে সেমিফাইনালের ক্ষীণ আশা এখনও জীবিত। তবে নেট রানরেট ভালো করতে হলে স্কটল্যান্ডকেও বড় ব্যবধানে হারাতে হবে বিরাট বাহিনীকে।
আসুন দেখে নেওয়া যাক, আজ দলে কি কি পরিবর্তন আনতে পারেন বিরাট। গত ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছিল ভারতের ওপেনিং জুটি। রোহিত রাহুলের জোড়া অর্ধশত রানে দুর্দান্ত শুরু করেছিল ভারতীয় দল। তাই ওপেনিং জুটিতে স্বাভাবিকভাবেই কোন বদল আসছে না। যদিও বিরাট আজ অবশ্যই ব্যাট করতে চাইবেন তিন নম্বরে। কারণ তিন নম্বরে ব্যাট করেই বড় বড় ইনিংস খেলেছেন তিনি। তাই আজও তিনি অবশ্যই চাইবেন ভারতকে একটি ভালো ইনিংস উপহার দিতে।
চার নম্বরের সূর্য কুমারের ভালো মোটামুটি পাকা, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফ্লপ করার পর গত ম্যাচে সেভাবে ব্যাট করার সুযোগ পাননি তিনি। তাই শুক্রবার তিনি অবশ্যই চাইবেন সুযোগ পেলে একটি বড় ইনিংস খেলতে। পাঁচ নম্বরে উইকেটকিপার ঋষভ পান্থ এবং ছয় নম্বরে হার্দিক পান্ডিয়ার জায়গা নিয়েও কোন সন্দেহ নেই। গত ম্যাচে দুজনেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছিলেন। একদিকে যেমন মাত্র ১৩ বলে ২৭ রানে ইনিংস খেলেছিলেন পান্থ, তেমনি অন্যদিকে ১৩ বলে ৩৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন হার্দিক।
গত ম্যাচে সুযোগ পেয়ে প্রথমবারেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন অশ্বিনও। মাত্র ১৪ রান দিয়ে আফগানিস্তানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। তাই স্পিন বিভাগকে নেতৃত্ব দিতে তার মাঠে নামা আজ নিশ্চিত। একমাত্র বদল আসতে পারে শার্দুল ঠাকুরের ক্ষেত্রে। গত ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও ৩১ রান খরচা করেছিলেন শার্দুল। আরব আমিরশাহীর স্পিন-সহায়ক উইকেটে শুক্রবার তার জায়গায় দলের তৃতীয় স্পিনার হিসেবে সুযোগ পেতে পারেন রহুল চাহার। প্রায় সমস্ত দেশের লেগস্পিনার এটাই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন বিশ্বকাপে। আর তাই রাহুলকে একবার অবশ্যই ব্যবহার করে দেখতে চাইবেন কোহলি।
ভারতের সম্ভাব্য একাদশ
রোহিত শর্মা, কেএল রাহুল, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পান্থ (উইকেটরক্ষক), হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, রাহুল চাহার, মহম্মদ শামি, জাসপ্রিত বুমরাহ এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন।