বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বঙ্গ বিজেপিতে (Bharatiya Janata Party) ডুমুর ফুল হয়ে উঠেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। এরপরেও ওনাকে জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য করা হয়। তবে, গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েও বিজেপিতে থাকেন নি রাজীববাবু। কদিন আগেই তিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন। এবার রাজীবের কৃতকর্মের থেকেই শিক্ষা নিচ্ছে বিজেপি।
বঙ্গ বিজেপি এখন ঠিক করেছে যে, এমন কোনও ব্যক্তিকে দলের কোনও শীর্ষপদে রাখা হবে না, যিনি দলকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে চলেছেন বা অন্য দলে যোগ দেওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে তাঁর মধ্যে। পাশাপাশি দলের নীতি, আদর্শ মেনে চলা ও দলের ইতিহাস নিয়ে অবগত করার জন্য নতুনদের পাঠ দেওয়ার ভাবনা নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন যে, ‘দল ছাড়ার সম্ভাবনা বা দলকে নিয়ে একের পর এক বিরূপ মন্তব্য করা নেতাদের দলের কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে। এছাড়াও যারা নতুন বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, তাঁদের দলের ইতিহাস ও নীতি আদর্শের পাঠ পড়াতে হবে।” তিনি বলেন, যারা ক্ষমতার লোভে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের স্বার্থসিদ্ধি না হওয়ায় এখন দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। একের পর এক নেতা, মন্ত্রী বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছিলেন। এমনকি তৃণমূলের টিকিট পাওয়া এক প্রার্থীও বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ না করতে পারায়, তাঁরা একে একে দল ছেড়ে ফের তৃণমূলে চলে গিয়েছেন।
এদের মধ্যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন অন্যতম। যিনি বিজেপিতে যোগ দিতে চাটার্ড ফ্লাইটে করে দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন। আর বিজেপি হারতেই তিনি আবার বিমানে করে আগরতলায় গিয়ে অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। এমন নেতাদের এবার দল থেকে দূরে রাখতেই বিজেপি নতুন পন্থা অবলম্বন করতে চলেছে।