বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দুর্গা পুজোর অষ্টমী থেকে ঘটনার সূত্রপাত। বাংলাদেশের (bangladesh) কুমিল্লা জেলার নানুয়া দীঘিতে একটি দুর্গা পুজো (durga puja) মন্ডপ থেকে উঠে আসে হামলার খবর। এরপর দিকে দিকে ঘটে যায় একের পর এক হিংসাত্মক ঘটনা। তবে এবার বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়াল মহানগর আওয়ামি লিগ (awami league)।
অভিযোগ উঠেছিল, বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার নানুয়া দীঘিতে একটি দুর্গা পুজো মণ্ডপে কোরান রাখা হয়েছে। আর তারপর থেকেই ভাঙচুর চলে বাংলাদেশের একাধিক পুজো মন্ডপ, মন্দিরেও। ভেঙে দেওয়া হয় প্রতিমা, গুড়িয়ে দেওয়া হয় প্যান্ডেলও।
এখানেই শেষ নয়, এরই মাঝে আবার হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আঘাতের খবর পাওয়া যায় রংপুরের পীরগঞ্জ, নোয়াখালি, ফেনি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ-সহ বেশ কয়েকটি জেলা থেকেও। হামলা করা হয় বাংলাদেশের ইস্কনের মন্দিরেও। নিহত হন মন্দিরের এক সদস্য।
জানা গিয়েছে এই ঘটনায়, দুর্গা পুজোর মন্ডপে কোরান রাখায় অভিযুক্ত রাজমিস্ত্রি ইকবালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।কুমিল্লায় দায়ের করা হয়েছে ১০২ টি মামলা এবং ২০ হাজার ৬১৯ জনকে আসামি করে ৫৮৩ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এবার এই ঘটনার প্রতিবাদ করে শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লা চত্বরে এক সম্প্রীতি সমাবেশের আয়োজন করে মহানগর আওয়ামি লিগ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র ও মহানগর আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক আজম নাছিরউদ্দিন।
সেই সভা থেকে তিনি বলেন, ‘দুর্গা পুজোর সময় মন্ডপে কোরান রেখে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধ করতে চেয়েছিল একাংশ। তবে আপনারা ভয় পাবেন না। আদালতে গিয়ে সাক্ষ্য দিতে হবে আপনাদের, ভয় পেয়ে পিছিয়ে গেলে চলবে না। ভয় পাবেন না, নির্ভয়ে সাক্ষী দিন, আপনাদের পাশে আছে সরকার ও আওয়ামি লিগ’।