বাংলাহান্ট ডেস্কঃ হীন মানসিকতার চূড়ান্ত সীমা পার করে গেল পাকিস্তান (pakistan)। প্রকাশ্যে এল স্কুলের ওয়াশরুমে গোপন ক্যামেরা রাখার খবর। যার পরবর্তীতে আতঙ্কের পরিবেশ ছড়িয়ে পড়ে গোটা স্কুল চত্বরে। এই বিষয়ে সামনে আসার পরই ওই বেসরকারি স্কুলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেয় সিন্ধু শিক্ষা দফতর। সেইসঙ্গে সিল করে দেওয়া হয় স্কুল বিল্ডিংও।
সূত্রের খবর, পাকিস্তানের সাফোরা গোঠের একটি বেসরকারি স্কুলের বাথরুমে এই গোপন ক্যামেরা লাগানো ছিল। ছেলে মেয়ে উভয়ের বাথরুমেই তা লাগানো ছিল বলেও জানা গিয়েছে। এই বিষয় জানা জানি হতেই, এমন আচরণের জন্য কারণ ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে। যদিও এই বিষয়ে এখনও অবধি কোন উত্তর দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পর স্কুলটি সিল করে দেওয়ার পরও শুক্রবার তা খোলা হয়।
বিষয়টা হল, চ্যাপেল সান সিটির দ্য হর্ক্স স্কুলের এক শিক্ষিকা এই স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সিন্ধুর বেসরকারী প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে। তারপর সেখান থেকে পরিদর্শনের জন্য বৃহস্পতিবার একটি কমিটি উপস্থিত হয়। আর এই কমিটি স্কুল পরিদর্শন কালে বাথরুমে দুটো গোপন ক্যামেরা খুঁজে পায়। তবে প্রথম বার কিছু খুঁজে না পেলেও, পরবর্তীতে আবারও পর্যবেক্ষণের সময় দেওয়ালে চাদর দেখতে পেয়ে সন্দেহ হওয়ায় ক্যামেরা খুঁজে পান তাঁরা।
জানা গিয়েছে, এই সমস্ত ক্যামেরা এমন ভাবে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল, যাতে শিক্ষিক শিক্ষিকা এবং ছাত্রছাত্রীদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে পারে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষিকা এই বিষয়ে জানলেও, ক্যামেরা ঠিক কোথায় রাখাছিল, সেসম্পর্কে তাঁরা কিছুই জানতেন না।