বাড়ি বাড়ি ঘুরে ফেরি করাই ছিল জীবিকা, ৩০ টাকায় বদলে গেল ভাগ্য, এহসান এখন কোটিপতি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভাগ্যের চাকা কখন যে কার ঘুরে যাবে, তা বোঝা বড়ই দায়। গতকাল ছিলেন ফেরিওয়ালা, যিনি সাইকেলে চড়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে প্লাস্টিকের জিনিসপত্র বিক্রি করতেন। আর আজ সেই হয়ে গেলেন কোটিপতি! শুনে কি ভাবছেন কোন সিনেমার গল্প বলছি? একদমই নয়, বাস্তবে ঠিক এমনটাই ঘটেছে শেখ এহসানের সঙ্গে।

বীরভূমের (birbhum) দুবরাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দা শেখ এহসানের বাড়িতে রয়েছে বাবা, মা, স্ত্রী, দুই সন্তান-সহ জনা দশেক সদস্য। বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্লাস্টিকের নানা জিনিসপত্র ফেরি করে, কখনও হরেক মাল ১০ টাকায়, আবার কখনও ২০ টাকায় বিক্রি করে সর্বোসাকূল্যে তাঁর দৈনিক আয় হয় ২০০ টাকা। আর তা দিয়েই অভাবের সংসারে কোনক্রমে তাঁদের দিন চলত।

hawker got 1 crore rupees by cutting the lottery ticket in birbhum

মাটির দেওয়াল, খড়ের চালে শুয়েই, অভাব ঘোচানোর স্বপ্ন দেখতেন শেখ এহসান। আর তাই নিয়মিত কাটতেন লটারির টিকিট। রোজকারের মতই সোমবার সকালেও ৩০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কেনেন শেখ এহসান। আর দুপুরে সেই খেলার ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায়, প্রথম পুরস্কার কোটি টাকা জিতেছেন এহসান।

পাড়ায় এমন খবর ঘটতেই তা দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে। এহসানের বাড়িতে ভিড় জমাত থাকেন বহু মানুষ। নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় পুলিশের দারস্থও হন তিনি। এবিষয়ে এহসানের মা নুরেমা বিবি বলেন, ‘আমার ছেলে এক কোটি টাকা পাওয়ায় আমরা খুবই খুশি। ওঁকে শিক্ষা দিতে পারিনি। আমি চাই ও বাড়ি বানাক, ছেলেমেয়দের পড়াশুনা শেখাক আর আমাদের দেখাশোনা করুক’।

এক রাতের মধ্যেই জীবনের এমন আমূল পরিবর্তন প্রসঙ্গে এহসান বলেন, ‘প্লাস্টিকের জিনিসপত্র ফেরি করি আমি। আর আজ ৩০ টাকার টিকিট কাটিতেই দেখি আমি ১ কোটি টাকা জিতেছি। এই অর্থ দিয়ে ঘরবাড়ি করব, ছেলেদের পড়াশোনা করাব’।


Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর