বাংলাহান্ট ডেস্ক: অবাঙালি হয়ে বাংলা সিরিয়ালে চুটিয়ে অভিনয় করছেন ভরত কল (bharat kaul)। বিয়েও করেছেন বাঙালি পরিবারে। এবারে বাংলা থেকে হিন্দির দিকে হাঁটা দিয়েছেন অভিনেতা। জনপ্রিয় বাংলা সিরিয়াল ‘দীপ জ্বেলে যাই’ এর হিন্দি রিমেক হয়েছে ‘রিশতো কা মাঞ্ঝা’, এ খবর তো সকলেই জানেন। নায়কের ভূমিকায় সেখানে রয়েছেন ক্রুশাল আহুজা। অবাঙালি হলেও ভরতের মতোই বাংলা সিরিয়ালে তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। হিন্দি তুখোড় হওয়ায় ভরতও দিব্যি মানিয়ে নিয়েছেন হিন্দি সিরিয়ালে।
কিন্তু হিন্দিতে সিরিয়াল হলেও গল্পটা কিন্তু কলকাতারই। আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ভরত কল জানান, তাঁর চরিত্রের নাম অমিতাভ আগরওয়াল। কলকাতার ব্যবসায়ী। বাড়িতে দূর্গাপুজোও হয়। কলকাতার এক অবাঙালি পরিবারকে নিয়েই সিরিয়ালের গল্প। ভরত ও ক্রুশাল ছাড়াও সিরিয়ালে একাধিক টলিপাড়ার অভিনেত্রীরা রয়েছেন যারা বাঙালি। মিশমি দাস, নন্দিনী চট্টোপাধ্যায় এমনকি নায়িকা রিয়াও বাঙালি।
ইষ্টি কুটুম, মিঠাই, খড়কুটো, শ্রীময়ী, দীপ জ্বেলে যাই পরপর একাধিক বাংলা সিরিয়াল হিন্দিতে রিমেক হচ্ছে। ভরতের কথায়, এটাই এখন ট্রেন্ড। তাই টলিপাড়ার অভিনেতা অভিনেত্রীরা যদি হিন্দি শিখে রাখেন তবে আখেরে তাদেরই লাভ। হিন্দিতে সিরিয়াল হওয়া মানেই সেটা জাতীয় স্তরে দর্শকদের কাছে পৌঁছে গেল।
তখন প্রায় গোটা দেশ থেকেই বিজ্ঞাপনের জন্য স্পনসর পাওয়া যায়। আর কে না জানে, বাংলা সিরিয়ালের তুলনায় হিন্দিতে বাজেট অনেকটাই বেশি। পাল্লা দিয়ে অভিনেতা অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিকটাও বাড়ে। ভরত অকপট, “বিনোদন জগত যে পথে হাঁটছে, তাতে হিন্দি শিখে রাখা কাজের সুযোগ অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে। হিন্দি ধারাবাহিক আছে, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে যথেষ্ট ভাল ভাল কাজ হচ্ছে। বলিউড তো আছেই”।
অভিনেতা বলেন, বাঙালি হয়েও যারা ভাল হিন্দি বলতে পারেন হিন্দিতে সিরিয়াল হলে তাদের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনাটা বেড়েই যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন সব্যসাচী চক্রবর্তী, অর্জুন চক্রবর্তী, পল্লবী চট্টোপাধ্যায়, জুন মালিয়াদের নাম। ভরতের বক্তব্য, এঁরা হিন্দি সিরিয়ালে সুযোগ পেলেও বাংলা ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে যাবেন না।
ভরত নিজে বাংলা, হিন্দি দুই দিক সামলাচ্ছেন। রিশতো কা মাঞ্ঝার পাশাপাশি বাংলায় নতুন সিরিয়াল ‘উমা’তেও কাজ করছেন। স্ত্রী জয়শ্রী মুখোপাধ্যায়ও ‘খড়কুটো’তে অভিনয় করছেন। তাঁর হিন্দি সিরিয়ালে অভিনয়ের ইচ্ছা নেই? সঙ্গে সঙ্গে ভরতের অভিযোগ, মুম্বইতে এক বছর থেকেও হিন্দি সড়গড় করতে পারেননি জয়শ্রী। সাধারন বাঙালিদের মতো ‘খাতা হ্যায়, যাতা হ্যায়, সোতা হ্যায়’ তেই আটকে জয়শ্রীর হিন্দি।