বাংলাহান্ট ডেস্ক: কটাক্ষ-পাল্টা কটাক্ষে সরগরম রাজর রাজনীতি। বৃহস্পতিবার অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় বিজেপি ছাড়ার পর থেকেই রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে তুঙ্গে উঠেছে তরজা। যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সায়নী ঘোষ (saayoni ghosh) দাবি করেছেন, বিজেপি নারীবিদ্বেষী দল। কোনো মহিলাই সেখানে টিকতে পারবেন না। পালটা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh) কটাক্ষ করেছেন, তৃণমূলে একজনই পুরুষ, বাকি সব মহিলা।
বৃহস্পতিবার লিলুয়ায় এক সভায় শ্রাবন্তীর বিজেপি ত্যাগ প্রসঙ্গে সায়নী বলেন, বিজেপি নারীবিদ্বেষী দল। একের পর এক তারকা বিজেপি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। কোনো মহিলাই ওখানে টিকতে পারবেন না। এই মন্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়তেই দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, বিজেপি করলে টলিউডে কাজ মেলে না। তাই তারকারা চলে গিয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন, রাস্তায় বেরিয়ে আন্দোলন করতে দেখেছেন কখনো এঁদের? কার্যকর্তারা মার খাচ্ছেন, সেখানে যেতে দেখেছেন তাঁদের? বাড়িতে বসে থাকলেই তো কেউ গিয়ে মালা পরাবে না।
এখানেই না থেমে দিলীপ ঘোষ আরো বলেন, “সায়নী ঘোষ নিজেকে পুরুষ মনে করেন? আমরা চার পাঁচ জন মহিলাকে রাজ্যপাল করেছি। দেশের প্রথম বিদেশমন্ত্রী, প্রথম প্রতিরক্ষামন্ত্রী হয়েছেন মহিলা। তৃণমূল যাকে মহিলা ভাবে, তিনি নিজেকে মহিলা ভাবেন না। তৃণমূলে একজনই পুরুষ রয়েছেন। বাকি সবাই মহিলা। শ্রাবন্তী ভাল মেয়ে। উনি রাজনীতি করুন, যাই করুন, ভাল থাকুন।”
এদিকে বিজেপি ছাড়ার দিনই আবার তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা বাড়িয়ে দেন শ্রাবন্তী। নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সাক্ষাৎকারে অভিমান প্রকাশ করেছিলেন শ্রাবন্তী। তাঁর অভিযোগ ছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে দেওয়া হয়নি তাঁকে।
বৃহস্পতিবার বিজেপি ছাড়তেই সেই প্রশ্ন উঠল আবারো। এবার কি তবে তৃণমূলমুখী শ্রাবন্তী? জল্পনা উড়িয়ে দেননি টলি অভিনেত্রী। তাঁর ছোট্ট উত্তর, ‘সময়ই উত্তর দিক’। নিজের জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তা নিয়েও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন শ্রাবন্তী। তাই গেরুয়া শিবির ছাড়ার পর দল তিনি বদলান কিনা সেই প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।