বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পেট্রোল ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে এমনিতেই যথেষ্ট চাপ পড়েছে জনতার পকেটে। তার ওপর বেড়ে চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও। আর এবার ফের একবার মূল্যবৃদ্ধির চাপ সহ্য করতে হতে পারে দেশবাসীকে। জ্বালানি কয়লার ঘাটতির কারনে এই মুহূর্তে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলির পরিস্থিতিও যথেষ্ট সংকট জনক।
সাধারণত ভারত উৎপাদনের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে কয়লা আমদানি ওপরে থাকে। এমতাবস্থায় যদি আন্তর্জাতিক তেল সংস্থাগুলি জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করে তাহলে কয়লা আমদানির জন্য আরও বেশি টাকা খরচ করতে হবে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিকে। আর এই কারনেই এবার বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে একটি নতুন নির্দেশনা জারি করেছে যার নাম অটোমেটিক পাস থ্রু মডেল। এই নির্দেশনা লাগু হলে সরাসরি চাপ পড়বে জনতার পকেটে।
আসুন বিষয়টি একটু বিশদে বুঝে নেওয়া যাক আসলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়লে খরচ বাড়বে বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থাগুলির। ভবিষ্যতে যদি জ্বালানির দাম বাড়ে তাহলে অটোমেটিক পাস থ্রু মডেল অনুযায়ী ডিসকম অর্থাৎ বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থাগুলিকেও অতিরিক্ত দাম দিতে হবে। আর এই ক্ষেত্রে সরাসরি চাপ পড়বে জনতার পকেটেও, কারণ রাজনৈতিক দল এবং সরকারি চাপ থাকা সত্ত্বেও ডিসকমগুলিকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে।
বিদ্যুৎ আইনের 62(4) ধারায় বলা হয়েছে যে যদি জ্বালানীর হারে পরিবর্তন হয়, তাহলে বিদ্যুতের শুল্ক বছরে কয়েকবার আপডেট করা যেতে পারে।
এখন সরকার এই সিদ্ধান্ত লাগু করার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির কিছু লাভ হবে ঠিকই কিন্তু এই তীব্র মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে আরও সমস্যায় পড়বে আমজনতা। যদিও আশার কথা এই যে চুক্তির হারে কোনো পরিবর্তন করতে গেলে তার আগে রাজ্য কমিশনের মতামত নিতে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কয়লা ঘাটতির ঘটনার পর দেশের প্রায় এক ডজন কোম্পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছিল, কারণ তাদের কাছে স্টোরেজের বিকল্প নেই, আর একইসঙ্গে রয়েছে আর্থিক ঘাটতিও। সে কথা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।