বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের (Nirmala Sitharaman) সঙ্গে সোমবার বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। পরিকাঠামো এবং শিল্পের উন্নয়ন ইস্যুতে এদিন উপস্থিত ছিলেন আরও বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা।
সেখানে অন্যান্য রাজ্যের মত বাংলার অর্থ প্রতিমন্ত্রীও নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন। প্রথম দিকে অন্যান্য রাজ্য সুযোগ পেলেও, শেষে তিন মিনিট সময় পেয়েছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আর সেই সময়েই নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘এখানে কাজের সমস্যার কারণে, পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছে। গত অর্থবর্ষে জিডিপি ২৪.৪ শতাংশ থাকলেও, এবারে তা দাঁড়িয়েছে ২০.১ শতাংশ। পাশাপাশি কমেছে ব্যক্তিগত ক্রয় ক্ষমতাও। করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি ত্রাণ সামগ্রীতেও অনেক অর্থ খরচ হয়েছে রাজ্যের। তবে এর মধ্যেও ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’, ‘স্বাস্থ্যসাথী’, ‘দুয়ারে রেশন’, ‘কন্যাশ্রী’-র মত প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে মানুষের কাছে টাকা পৌঁছে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। আবার দেখুন দেশের জিডিপি যেখানে ৭.৩ শতাংশ কমেছে, সেখানে রাজ্যের বৃদ্ধি পেয়েছে ১.৬ শতাংশ’।
তিনি বলেন, ‘এসবের পাশাপাশি তাজপুর সমুদ্র বন্দর, দেউচা-পাচামি কয়লা খনি, ইথানল পলিসি, ডেটা সেন্টার তৈরি-সহ একাধিক বিষয় রাজ্য এগিয়ে এসেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বরাদ্দ টাকা পাচ্ছে না বাংলা। এমনকি অনেক কম কর পাচ্ছে রাজ্য সরকার’।
তিনি কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘রাজ্যগুলোর অবস্থা ভালো হলেও, দেশের অবস্থার উন্নতি হবে। মানুষের হাতে টাকা না পৌঁছালে, অর্থনীতির চাকা মসৃণভাবে ঘুরতে পারবে না। শুধুমাত্র নির্বাচনী চমক দিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কথা বললে চলবে কি করে, মানুষের হাতে টাকা পাঠানোর পরিকল্পনা করতে হবে’।