বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এক মেয়ে সন্তানের পর, জন্ম নেয় আরও এক মেয়ে সন্তান, আর সেই থেকেই সংসারে অশান্তি। সেই অশান্তির জেরেই স্ত্রীকে মারধোরও করতে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনকি নানাভাবে কুপ্রস্তাবও দিতেন শ্বশুর। অন্যদিকে দ্বিতীয় বিয়ের পরিকল্পনাও করছিল স্বামী। অবশেষে বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করলেন জলপাইগুড়ির (jalpaiguri) এক মহিলা।
আজকের দিনে মেয়েরা ট্রেন, প্লেন চালানো থেকে শুরু করে মহাকাশে ভ্রমণ করে ফেললেও, কিছু মানুষ এখনও কুসংস্কারের অন্ধাকারেই ডুবে রয়েছে। কিছু মানুষের কাছে মেয়ে মানে এখনও বোঝা। তাই আজকের এই আধুনিক যুগেও, গোটা বিশ্বের কোন না কোন প্রান্ত থেকে কন্যা ভ্রূণ হত্যা থেকে শুরু করে কন্যা সন্তানের জন্মগ্রহণের পর মায়ের উপর অত্যাচারের খবর শোনা যায়।
এই লজ্জাজনক ঘটনা উঠে এল এবার জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ এলাকা থেকে। বৈরাগীপাড়ার বাসিন্দা আবু বক্করের সঙ্গে বছর দশেক আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন রাজগঞ্জের সাহেবপাড়ার বাসিন্দা সায়রা বানু। কিন্তু সায়রা বানু অভিযোগ করেছেন, পর পর দুবার কন্যা সন্তান হওয়ায় তাঁর উপর অকথ্যা অত্যাচার চালাতো পরিবারের লোকজন। মারধোর থেকে শুরু করে, তাঁকে এমনকি খেতেও দেওয়া হত না।
এমনকি শ্বশুরের কাছ থেকে কুপ্রস্তাবও পেয়েছিলেন তিনি। সেই কথা স্বামীকে বলতে গেলে, উলটে তাঁকে মারধোর করতে থাকেন আবু বক্কর। এসবের মধ্যে আবার দ্বিতীয় বিয়ের তোরজোড়ও শুরু করে আবু বক্কর। এসব দেখে আর সহ্য করেত না পেরে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সায়রা বানু।
এই ঘটনায়, ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সমীর পাল জানান, ‘রাজগঞ্জ থানায় এক মহিলা বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত করা হবে’। তবে এবিষয়ে সায়রার স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিকর দাবী, ‘স্ত্রীর অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। তাই বাড়ি আসতে চাইত না’।