বাংলাহান্ট ডেস্ক: খারিজ হয়ে নুসরত জাহান (nusrat jahan) ও নিখিল জৈনের (nikhil jain) বিয়ে। নুসরতের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিখিল। ম্যারেজ অ্যানালমেন্টের মাধ্যমে সাংসদ অভিনেত্রীর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করতে চেয়েছিলেন তিনি। বুধবার সেই মামলায় রায় দিল আদালত। জয় হল নিখিলের।
জন্মদিনের দিনই এই খবর আসে। মামলার রায় জেনে সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিখিল জানিয়েছেন, এটাই জন্মদিনে তাঁর সেরা উপহার। এতদিনে অনেকটাই শান্তি পেয়েছেন তিনি। তুরস্কে ধুমধাম করে রাজকীয় বিয়ে হওয়া সত্ত্বেও নুসরত দাবি করেছিলেন, তাঁদের নাকি বিয়েই হয়নি। এমনকি বিবাহ বিচ্ছেদের প্রস্তাবেও রাজি হননি নুসরত। তাঁর দাবি ছিল, ভারতীয় আইনে তাঁদের বিয়ে হয়নি। তাঁরা এতদিন সহবাস করেছেন। যে বিয়েটাই হয়নি তার বিচ্ছেদ কীসের?
সম্প্রতি নুসরত দাবি করেন, তুরস্কে বিয়ের কোনো খরচই নাকি নিখিলের পরিবার দেয়নি তাঁকে। এক ইংরেজি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নুসরত বলেন, “ওরা আমার বিয়ের খরচ দেয়নি। আমার হোটেলের বিলের টাকা ওরা দেয়নি। ওদের কিছুই বলার নেই আমার। আমি নিজে সৎ। আমাকে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। এখন আমি সব কৈফিয়ত দিয়ে দিয়েছি।”
নুসরত আরো দাবি করেন, গোটা বিতর্কের মধ্যেই কারোর নাম করেননি তিনি। কাউকে ছোট করার ইচ্ছা নেই তাঁর। তবে তিনি এও বলেন, অন্যকে খারাপ দেখানো বা অন্যকে দোষারোপ করা অনেক সোজা। এর আগেই নুসরত দাবি করেছিলেন, তিনি নিজে ‘সহবাস’ এর কথা বলেননি। নিখিল যে ডিভোর্স পেপার তাঁকে পাঠিয়েছিলেন তাতৈই লেখা ছিল ‘সহবাস’ কথাটি। তিনি সেটাই বলেছেন। নিখিলের কথাকে তাঁর কথা বলে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নুসরত।
নুসরত বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন, তুরস্কে নিখিল ও তাঁর বিয়ে নাকি এদেশের মতে আইনত সিদ্ধ নয়। উপরন্তু কোনো রেজিস্ট্রিও হয়নি তাঁদের বিয়ের। যদিও নিখিল দাবি করেছেন, তিনি বহুবার নুসরতকে রেজিস্ট্রি করতে বললেও সেকথা কানে তোলেননি নুসরত। অবশেষে নুসরতের বিরুদ্ধে জয় হল নিখিলেরই।