বাংলা হান্ট ডেস্কঃ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইলিয়ামসন বাহিনীর সামনে দাপট দেখাতে না পারলেও ঘরোয়া লড়াইয়ে জয়পুরে প্রথম ম্যাচ জিতে নিয়ে ইতিমধ্যেই সিরিজে এগিয়ে ছিল ভারতীয় দল। শুক্রবার রোহিত বাহিনীর সামনে সুযোগ ছিল ম্যাচ জিতে সিরিজ পকেটস্থ করার। এদিনও টসে জিতে প্রথম নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারতীয় দলই। শুক্রবারও শুরুটা বেশ আক্রমণাত্মকই করেছিল নিউজিল্যান্ড। এমনকি 4 ওভারের মধ্যে 48 রানের পার্টনারশিপও করে ফেলেছিলেন গাপটিল এবং মিচেল। কিন্তু 15 বলে 31 রান করে গাপটিল দীপকের শিকার হতেই গল্পে নতুন মোড় আসে।
একদিকে যেমন 21 রানের মাথায় চ্যাপম্যানকে ফিরিয়ে দেন অক্ষর তেমনি 31 রানে মিচেলকে সাজঘরের রাস্তা দেখান হর্ষল। টিম সেফার্ট (13) এবং ফিলিপস (34) মিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু হর্ষল এবং রবীচন্দ্রন অশ্বিনের সামনে তারাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ফলত শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে 153 রানের শেষ হয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের লড়াই।
ভারতের হয়ে নিজের অভিষেক ম্যাচেই মাত্র 25 রান দিয়ে 2 উইকেট শিকার করেন হর্ষল। অন্যদিকে অশ্বিন, অক্ষর, দীপক এবং ভুবনেশ্বর একটি করে উইকেট পান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য শুরু থেকেই মারমুখী ছিলেন রোহিত এবং রাহুল। গতম্যাচে যেমন প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন রোহিত, তেমনি এই ম্যাচে সেই ভূমিকা নিতে দেখা যায় রাহুলকে। অন্যদিকে রোহিত মূলত অপেক্ষা করছিলেন খারাপ বলের জন্য।
https://twitter.com/BCCI/status/1461743662602145792?t=MYwKXnvmVwF8t9DKSw_xmQ&s=19
কার্যত শুক্রবার ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেন এই দুই ওপেনারই। তাদের দৌলতে মাত্র 11.4 ওভারেই শতরান পার করে ভারতীয় দল। যার ফলে বেশ কয়েক ওভার বাকি থাকতেই বাতাসে জয়ের সুগন্ধ পেতে শুরু করে রোহিত বাহিনী। যদিও এদিন রাহুল রোহিত কেউই ম্যাচ শেষ করে যেতে পারেননি। একদিকে যেমন 49 বলে হাফ ডজন বাউন্ডারি এবং দুটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো 65 রানের ইনিংস খেলে সৌদির শিকার হন রাহুল, তেমনি অন্যদিকে 36 বলে 55 রান করা রোহিতকেও সাজঘরের রাস্তা দেখান সেই সৌদিই। এমনকি গত ম্যাচের নায়ক সূর্যও একই ওভারে ঘরে ফিরে যান। তবে তরুণ ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং পান্থের দৌলতে এদিন ম্যাচ জিতে নিতে কোন অসুবিধা হয়নি ভারতের। এই জয়ের সাথে সাথেই অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজও পকেটস্থ করলেন রোহিত শর্মা।