বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর চালু করা নতুন প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-র (lakshmir bhandar) আওতায় ইতিমধ্যেই বাংলার প্রচুর মহিলার অ্যাকাউন্টে ৩ মাসের টাকা ঢুকে গিয়েছে। তবে শুরু হতে না হতেই এই প্রকল্প নিয়ে উঠল দুর্নীতির অভিযোগ।
সবকিছু নিয়ম মাফিক করেও গত তিন মাস ধরে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-র টাকার আশায় অপেক্ষা করছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া ব্লকের জগন্নাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিলডাঙ্গা গ্রামের ১৫৮ নং বুথের বাসিন্দা স্বপ্না সেন, সাবিনা বিবি, কদবানু বিবিরা। অবশেষে একটু তলিয়ে কারণ দেখতে গিয়েই কেচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে এল বড়সড় একটি সাপ!
খোলসা করেই বলি, বিষয়টা হল আর পাঁচজনের মত পিলডাঙ্গা গ্রামের স্বপ্না সেনও সমস্ত নথি দিয়েই জমা দিয়েছিলেন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-র ফর্ম। আশেপাশের মহিলাদের ফোনে ম্যাসেজ চলে এলেও, তাঁর ফোনে কোন ম্যাসেজ আসে না। এইভাবে গোটা তিনটে মাস অপেক্ষা করেছিলেন স্বপ্না সেন। এরপর গভীরে গিয়ে দেখতেই ‘চক্ষু চড়কগাছ’ হয় তাঁর।
স্বপ্না সেন বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম কোন প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এসএমএস আসেনি আমার ফোনে। তারপর তিন মাস অপেক্ষার পর বাদুড়িয়া বিডিও অফিসে গিয়ে জানতে পারি, আমার নথিতে আমার বদলে অন্য কারো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং ফোন নম্বর দেওয়া রয়েছে। আর তিন মাসের টাকা মোট ১৫০০ টাকা সেখানেই চলে গেছে।
এরপর তাঁদের থেকে সেই নথির প্রিন্ট আউট নিয়ে ব্যাঙ্কে যেতেই আমার চক্ষু চড়কগাছ হয়। গিয়ে জানতে পারি ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আসলে আমারই গ্রামের ১৫৯ নং বুথের উপপ্রধান হাসানুর জ্জামানের স্ত্রী ইরিনা ইয়াসমিনের। আর সেখানেই চলে গিয়েছে আমার টাকা’।
বিষয়টি জানাজানি হতেই ঘটনার কথা স্বীকার করে ইরিনা ইয়াসমিন বলেন, দলের কেউ তাঁকে বদনাম করতে চক্রান্ত করে এসব করেছে। যার কারণে ১৩৪ জন মহিলার টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। অবশ্য এরপর বিডিও সুপর্না বিশ্বাস স্বপ্না সেনের প্রাপ্য টাকা তাঁকে ফিরিয়ে দিতে বলেন এবং আগামী মাস থেকে এই ভুল সংশোধন করে নেওয়ার আশ্বাস দেন।