বাংলাহান্ট ডেস্ক: মুক্তি পেতে না পেতেই ট্রোলের মুখে পড়েছে সলমন খান (salman khan) ও আয়ুষ শর্মা অভিনীত ‘অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ’। এই প্রথম কোনো ছবিতে নিজের ভগ্নীপতির সঙ্গে দেখা গেল ভাইজানকে। গত ২৫ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। আর এর মধ্যেই উঠেছে অন্তিম বয়কটের ডাক।
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং তালিকায় উঠে এসেছে অন্তিম ও সলমন খানের নাম। মূলত প্রয়াত সুশান্ত সিং রাজপুতের (sushant singh rajput) ভক্তরাই এই ছবি বয়কটের ডাক দিয়েছে। গত বছর সুশান্তের রহস্যমৃত্যুর পর বলিউডের যে হেভিওয়েটদের নাম উঠে এসেছিল তাদের মধ্যে সলমন অন্যতম। অভিযোগ উঠেছিল, বলিউডের নেপোটিজমের বলিই হতে হয়েছে সুশান্তকে। এমনকি একাংশ দাবি করেছিল, সলমনের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়াতেই এই পরিণতি সুশান্তের।
তবে অনেক অভিযোগ উঠলেও এখনো এই রহস্যের কোনো কিনারাই হয়নি। যে কারণে SSR অনুরাগীরা তাঁর আত্মহত্যার তত্ত্বকে মানতে নারাজ। এখনো পর্যন্ত সুশান্ত মৃত্যু মামলায় কোনো অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়নি। ফলে দোষটা এখন গিয়ে পড়েছে সলমনের উপরে।
সুশান্ত ভক্তরা সমস্ত পুরনো ভিডিও ও টুইট ঘেঁটে দাবি করছে, নিজের দেশের প্রতি কতটা উদাসীন ভাইজান। একটি টুইটে অভিযোগ করা হয়েছে, ২৬/১১র মুম্বই হামলাতে প্রায় হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। কিন্তু সলমন প্রকাশ্যেই সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন করেছিলেন। অভিনেতার হিট অ্যান্ড রান মামলার প্রসঙ্গ তুলেও অভিযোগ শানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সুশান্তের মৃত্যুর পর প্রয়াত অভিনেতার ভক্ত এবং সলমন ভক্তদের মধ্যে তীব্র বিবাদ তৈরি হয়েছিল। নেটমাধ্যমে সলমন বিরোধী পোস্টে ভরে গিয়েছিল। এমনকি তাঁর বিইং হিউম্যান স্টোরের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করা হয়েছিল। একাধিক অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। শেষে সলমন নিজেই অনুরাগীদের উদ্দেশে বার্তা দেন, সুশান্ত অনুরাগীদের পালটা আক্রমণ না করতে।
অন্তিম ছবিতে একজন শিখ পুলিস অফিসারের চরিত্রে দেখা গিয়েছে বলিউডের ভাইজানকে। অপরদিকে এক কুখ্যাত গ্যাংস্টারের ভূমিকায় অভিনয় করছেন আয়ুষ। দুজনের দৃষ্টিভঙ্গি, মতামত সম্পূর্ণ আলাদা। দুটি ভিন্ন জগতের মানুষ মুখোমুখি হলে যে সংঘাতটা সৃষ্টি হবে সেটাই তুলে ধরা হয়েছে ‘অন্তিম’ ছবিতে। মহেশ মঞ্জরেকর পরিচালনা করেছেন ‘অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ’ ছবিটি।