বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রবিবার ত্রিপুরার পুরভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে। ফলাফলে বিজেপি একচ্ছত্র ভাবে প্রায় সব আসনেই জয়ী হয়েছে। গেরুয়া ঝড়ের সামনে বাম আর তৃণমূলকে অসহায় দেখা গিয়েছে। তবে, তৃণমূলের ভোট অনেকটাই বৃদ্ধি হয়েছে, যার জেরে ঘাসফুল শিবির বেশ উজ্জীবিত। ত্রিপুরার গণনার পর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করে বলেছিলেন যে, ‘তৃণমূলই এখন ত্রিপুরার প্রধান বিরোধী শক্তি”।
এখন প্রশ্ন এটাই যে, তাহলে কী সত্যি তৃণমূল ত্রিপুরার বামেদের সরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে? বলে দিই, তৃণমূল বেশ কিছু ওয়ার্ডে ভালো ফল করেছে। আগরতলার ৫১টির মধ্যে ২৬টি ওয়ার্ডে তাঁরা দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। এবং আমবাসায় একটি ওয়ার্ডে জয়ও হাসিল করেছে তৃণমূল।
ত্রিপুরার যেই ২১২টি ওয়ার্ডে ভোট হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ১৪৯টি আসনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বামেরা। ৫৬টি ওয়ার্ডে বামেদের হারিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তৃণমূল। ৭টি ওয়ার্ডে কংগ্রেস দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এই পরিসংখ্যানে এটা স্পষ্ট যে, তৃণমূল নয়, ত্রিপুরায় বামেরাই এখনও প্রধান বিরোধী শক্তি।
তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দাবির পিছনে কিছুটা যুক্তিগত কারণ রয়েছে। আমবাসা, আগরতলা আর তেলিয়ামুড়ার মধ্যে একমাত্র আগরতলার সব আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছিল তৃণমূল। আর এই তিনটি পুরসভার বেশীরভাগ আসনেই ঘাসফুল শিবির দ্বিতীয় হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে শুধুমাত্র আগরতলা পুরসভা নিয়েই এই দাবি করেছিলেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখছে না।
আগরতলার ৫১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৬টি ওয়ার্ডে তৃণমূল দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। অন্যদিকে, বাকি ২৫টি ওয়ার্ডে সিপিএম দ্বিতীয় হয়েছে। আগরতলায় তৃণমূল দ্বিতীয় হলেও, বাকি পুরসভায় সিপিএমই দ্বিতীয়। সেই হিসেবে এখনো ত্রিপুরার প্রধান বিরোধী শক্তি বামেদেরই ধরা হবে। অন্যদিকে, মোট ভোট শতাংশেও তৃণমূলের থেকে কিছুটা এগিয়ে রয়েছে বামেরা। তাই ত্রিপুরার প্রধান বিরোধী শক্তি যে তৃণমূল, সেটা বলা বা দাবি করা ভুল।