বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্মূল্যের বাজার যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না মধ্যবিত্তের। প্রতিনিয়তই অগ্নিমূল্য হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের বাজার। আর যার ফলে পকেট গড়ের মাঠ হচ্ছে মধ্যবিত্তের। সেই তালিকায় রয়েছে ভোজ্য তেলও (edible oil)। ক্রমশই আকাশচুম্বী হচ্ছে ভোজ্য তেলের দাম।
ভোজ্য তেলের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকার কারণে, কিছু মানুষ তো কম তেল ব্যবহার করে রান্না করাও শুরু করে দিয়েছেন। যতটুকু না দিলে নয়, শুধুমাত্র সেইটুকুওই ব্যবহার করছেন। যার ফলে পকেট থেকে জলের মত টাকা বেরিয়ে যাওয়ার মত, রান্নার স্বাদও অনেক বদলে গিয়েছে। কমে গিয়েছে রান্নার মানও।
হিসেব বলছে, গত এক বছরে প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়েছে সরিষার তেলের দাম। যার ফলে মধ্যবিত্তের হেঁশেলে আগুন জ্বললেও, রান্নার স্বাদ ক্রমশ বিস্বাদে পরিণত হচ্ছে। রিপোর্ট অনুসারে, লকডাউনের আগে সরিষার তেলের দাম প্রতি লিটার ছিল ৯০- ৯৫ টাকা। আর বর্তমানে সেই তেলের দাম বাড়তে বাড়তে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৪- ২০০ টাকা প্রতি লিটার। ২০১৯ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ দাম বেড়ে গিয়েছে সরিষার তেলের।
সূত্রের খবর, দেশে চাহিদার অনুপাতে ভোজ্যতেলের উৎপাদন খুবই কম। সেই কারণে বিদেশ থেকে ভোজ্যতেল আমদানি করতে হচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রে দাম কিছুটা কমাতে ইতিমধ্যেই সয়াবিন তেল, পাম অয়েল ও সূর্যমুখী তেলের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে কেন্দ্র সরকার। প্রথম দিকে সরকারের নেওয়া এই সমস্ত পদক্ষেপ দৃশ্যমান হলেও, বর্তমানে আবারও আকাশছোঁয়া হচ্ছে ভোজ্য তেলের দাম।
‘পান্ডিত্য করলেই রাজনৈতিকভাবে…’ সোহমের মন্তব্য ঘিরে তৃণমূলে বিরাট হইচই