বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কিছুটা স্বস্তির মুখে মধ্যবিত্ত। শীতকালে দেশের প্রধান তেল-তৈলবীজের বাজারে সয়াবিন, চীনাবাদামসহ বেশির ভাগ তেলবীজের দাম কমেছে। আবার বেশি পরিমাণে আমদানির কারণে, কমেছে সয়াবিন তেলসহ কয়েকটি তেলবীজের দাম। যার ফলে আশা করা যাচ্ছে বেশকিছুটা করে কমতে পারে তেলের দাম।
সূত্রের খবর, চীনাবাদামের ডিওসির চাহিদা থাকায় চীনাবাদাম তেল ও তৈলবীজের দামেও উন্নতি হয়েছে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় হালকা তেলে তুলা বীজের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বেড়েছে তুলাবীজের তেলের দামও। যার ফলে গত সপ্তাহে সরিষা বীজের দাম ৮৯২০-৮৯৫০ টাকা থেকে ৭৫ টাকা কমে যাওয়ার পর ৮৮৫০-৮৮৭৫ টাকা প্রতি কুইন্টাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার সার্সন দাদরি তেলের দাম প্রতি কুইন্টালে ৫০ টাকা কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৫০০ টাকা। অন্যদিকে সরিষা, পাক্কি ঘানি ও কচি ঘানি তেলের দাম ২৫ টাকা কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৯০- ২৭১৫ টাকা এবং ২৭৭০- ২৮৮০ টাকা।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সয়াবিনের নন-তেল তেলের (ডিওসি) স্থানীয় চাহিদার মধ্যে পর্যালোচনাধীন সপ্তাহান্তে সয়াবিনের দানা এবং সয়াবিনের আলগা দাম প্রতি কুইন্টাল ১৫০ টাকা করে বেড়ে ৬৭৫০- ৬৯০০ টাকা এবং ৬৬০০- ৬৭০০ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে সয়াবিন দিল্লি, সয়াবিন ইন্দোর এবং সয়াবিন ডেগামের দাম ১৬০ টাকা, ২১০ টাকা এবং ১৮০ টাকা কমে গিয়ে ১৩২২০ টাকা, ১২৮৭০ টাকা এবং ১১৬৭০ টাকায় আমদানি বন্ধ হয়েছে।
চিনাবাদাম তেলের দাম ৫০ টাকা বেড়ে গিয়ে কুইন্টাল প্রতি ৫৯০০- ৫৯৮৫ টাকায় বন্ধ হয়েছে। গুজরাটে ১০০ টাকা বেড়ে গিয়ে এই তেলের দাম দাঁড়িয়েছে কুইন্টাল প্রতি ১৩০০০ টাকা। আবার চিনাবাদাম দ্রাবক পরিশোধিত তেলের দাম ৩৫ টাকা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৯২০- ২০৪৫ টাকা।
অপরিশোধিত পাম তেলের দাম ৮০ টাকা কমে গিয়ে প্রতি কুইন্টালে দাঁড়িয়েছে ১১১৭০ টাকা। আবার দিল্লীতে পামোলিনের দাম ৫০ টাকা বেড়ে গিয়ে কুইন্টাল প্রতি হয়েছে ১২৮০০ টাকা। পামোলিন কান্ডলা তেল কুইন্টাল প্রতি ৫০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৬৫০ টাকা এবং তুলাবীজ তেলের দাম ২০ টাকা বেড়ে কুইন্টাল প্রতি দাঁড়িয়েছে ১২২২০ টাকা।