বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সকালে কেটেছিলেন লটারির টিকিট (lottery ticket), আর দুপুর গড়াতে না গড়াতেই হয়ে গেলেন কোটিপতি! আর তারপরই ছুটলেন পুলিশের কাছে। প্রাণের আশঙ্কায় পুলিশের দারস্থ হয়ে, নিরাপত্তা নিয়েই বাড়ি ফিরলেন ব্যক্তি।
ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের (bardhaman) বাম এলাকায়। সেখানকার বাসিন্দা শেখ হীরা, অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে কোনক্রমে দিন কাটাতেন। তাঁর পরিবারে রয়েছে বৃদ্ধা অসুস্থ মা, যার চিকিৎসার খরচ যোগাতেই হিমশিম খেয়ে যান শেখ হীরা। তবে মোটা টাকা বেঁধে যাওয়ার আশায় মাঝে মধ্যেই লটারির টিকিট কাটতেন শেখ হীরা।
এদিনই তেমনই বৃহস্পতিবার সকালে ২৭০ টাকার টিকিট কাটেন শেখ হীরা। এরপর বেলা দেড়টা নাগাদ সেই টিকিট মিলিয়ে দেখতেই চক্ষুচড়কগাছ হয়ে যায় তাঁর। দেখেন টিকিটে প্রথম পুরস্কার অর্থাৎ কোটি টাকা তাঁরই বেঁধে গিয়েছে। এই ঘটনা নিজেই বিশ্বাস করতে পারেননি তিনি। বারবার করে টিকিটের নম্বর মিলিয়ে দেখতে থাকেন। আর সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়ার পর, বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করলেন না। ছুটে গেলেন শক্তিগড় থানায়।
লটারির টিকিট চুরি যাওয়া এবং তাঁর জীবন সংশয় একাধিক আশঙ্কার জন্য পুলিশের দারস্থ হয়ে চাইলেন নিরাপত্তা। পুলিশও সবটা শুনে তাঁকে নিরাপত্তা দিলেন। বর্তমান সময়ে শেখ হীরার বাড়িতে সর্বক্ষণের জন্য পুলিশি পাহারা বসানো হয়েছে।
লটারির টিকিটে প্রথম পুরস্কার পেয়ে শেখ হীরা জানান, ‘পেশায় একজন অ্যাম্বুল্যান্স চালক আমি। বেশি টাকা পাওয়ার আশায় লটারির টিকিট কাটতে কাটতে আজ আচমকাই কোটি টাকা বেঁধে যায়। আর এই পুরস্কার বাঁধতেই থানায় যাই। এই পুরস্কার জেতার ফলে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে অভাব কিছুটা কমলো। অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা করাব, আর একটা বাড়িও তৈরি করব’।