দেবীর নামে সরকারি প্রকল্প করায় তোপ মীনাক্ষীর, সপাটে জবাব দিলেন দেবাংশু

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনের পূর্বে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প’র (lakshmir bhandar) চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নির্বাচনে জয়লাভ করতেই রাজ্যে তা চালুও করা হয়। তবে এই প্রকল্পের নামের কারণে ইতিমধ্যেই রাজ্যকে আক্রমণ করেছেন বাম শিবিরের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (minakshi mukherjee)। এবার বামনেত্রীর আক্রমণের জবাব দিলেন তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য (debangshu bhattacharya)।

‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প’র নামকরণ নিয়ে রাজ্যকে বিঁধিয়ে মীনাক্ষী বলেছিলেন, ‘যে রাজ্যে নানা জাতি, বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গের মানুষ বসবাস করেন, সেখানে একটি নির্দিষ্ট ধর্মের ঠাকুরদেবতার নামে প্রকল্প করাটা শুভ বুদ্ধির সম্পন্ন মানুষ মেনে নেবে? আমার তো মনে হয় না তাঁরা মানবে বলে। এতদিন পর্যন্ত দেখা গেছে কোন মনীষী, ঐতিহাসিক চরিত্র, কলাকুশলী, সাহিত্যিক সহ অন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে কোন প্রকল্প হয়েছে। আর এখন দেখা যাচ্ছে প্রকল্প হচ্ছে ঠাকুর দেবতার নামে’।

hvbvbb

মীনাক্ষীর এমন তোপের মুখে দাঁড়িয়ে পালটা জবাব দিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘১৯০৫ সাল নাগাদ যখন স্বদেশী আন্দোলন শুরু হয়, তখন সরলা দেবী চৌধুরানী লক্ষ্মীর ভান্ডার শুরু করে দুঃস্থ মহিলাদের হস্তশিল্পে উৎসাহিত করে। যার ফলে গড়ে ওঠে ভারতবর্ষের প্রথম মহিলা সংগঠন। কোন ধর্মের সঙ্গে নয়, এটার একটা ঐতিহাসিক দিক রয়েছে। মীনাক্ষী হয়ত তা জানেন না। আর আমাদের বাবা মায়েরা তো আমাদের লক্ষী ছেলে মেয়ে বলেই ডাকে। তাঁরা কি কোন ধর্মের কথা ভাবেন তখন?’

দেবাংশু আরও বলেন, ‘আপনাদের পার্টিতে তো সীতারাম ইয়েচুরি এবং মুসলিম ধর্মাবলম্বী মহম্মদ সেলিম দুজনেই রয়েছেন। তাহলে আপনার থিওরি অনুযায়ী তো সেলিমবাবু কোনদিন সীতারাম ইয়েচুরির নাম ধরেই ডাকতে পারবেন না। ওগো, কিগো, শুনছ এসব বলে ডাকতে হবে। নিশ্চয়ই তিনি তা করেন না। আবার দেখুন দুর্গা চানাচুর, লক্ষ্মী নারায়ণ বস্ত্রালয়, মা মনসা রোল সেন্টার, নিজাম-আরসালানে সব ধর্মের লোক যায়। তাহলে আপনার কথা মত তো তাহলে লক্ষ্মী নারায়ণ বস্ত্রালয় শুধু হিন্দুরাই যাবেন, আর নিজামের রোল বা আরসালানের বিরিয়ানি খেতে শুরু মুসলিম ধর্মের মানুষেরাই যাবেন’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর