ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে কলকাত পুরভোটের, নির্বাচনী প্রচারে বাড়ি বাড়ি গেলেন দিলীপ, শুভেন্দু, সুকান্তরা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে কলকাত পুরভোটের। নির্বাচনী প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, তারপর তারকা প্রচারকদের তালিকা প্রকাশ এবং তারপর নির্বাচনী ইস্তেহার- সবকিছু সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর এবার কোমর বেঁধে লেগে পড়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। প্রচার চলছে জোরকদমে।

বাড়ি বাড়ি প্রচারে সামিল হয়েছেন দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, অশোক দিন্দারা। প্রচারে চমক থেকে শুরু করে প্রতিশ্রুতি দান, কোন কিছুতেই কমতি রাখছে না কোন পক্ষই। একের পর এক চলছে মিছিল, জনসভা থেকে শুরু করে মানুষকে নিজেদের দিকে আকর্ষণ করার প্রচেষ্টা।

২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মীনা দেবী পুরোহিতের হয়ে প্রচারের মাঠে নেমেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের ফাঁকে তিনি বলেন, ‘গত ২৫ বছর ধরে তিনি জিতে আসছেন এবং আগামীতেও জিতবেন। অনেক সমস্যা, বাধানিষেধ পেরিয়েও লড়াই চলছে এবং তার মধ্যেই মীনাদেবী জয়লাভ করবেন’।

IMG 20210608 191258

অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ প্রচারে নেমেছিলেন বেহালা ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের মনোনীত বিজেপি প্রার্থী শর্মিষ্ঠা ভট্টাচার্যের হয়ে। প্রচারে নেমে তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের প্রায় ১৫ বছর, আর ওদিকে সিপিএমের দীর্ঘ সময়কাল, এসবের মধ্যে এখনও কিছু বেসিক সমস্যার সমাধান করা যায়নি। সেইসঙ্গে হিংসা দুর্নীতি তো লেগেই রয়েছে। আমরা চাই আধুনিক কলকাতা তৈরি করতে, মানুষের সেবা করতে। সব অভিজ্ঞতাই আছে আমাদের। লড়াই একদিকে তৃণমূলের জন্য যেমন কঠিন, তেমনই আমাদের জন্যও সমান কঠিন। মানুষের জন্য কাজ করতে আমরা প্রস্তুত, মানুষ সমস্ত সমাধান করবে’।

bbvbvb 2

আবার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী চিত্রা পালের সমর্থনে প্রচার করতে মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘নেতারা শুধু নিজেদের সম্পত্তিই বাড়িয়ে গেছেন, কোন কাজই হয়নি তৃণমূলের আমলে। পরিচ্ছন্নতা, প্রশাসনের পরিবর্তন চাইলেই চিত্রাদেবীকে ভোট দিন’। এমনকি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের কর্মী আবাসনে গিয়েও তিনি প্রচার করেন।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর