বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ (didi number one) এর মঞ্চে আসাধ্য সাধন! রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (rachana banerjee) সঙ্গে খেলতে হাজির মদন মিত্র (madan mitra)। একা নয়, তিনি এসেছেন দোকা! সঙ্গে স্ত্রী অর্চনা মিত্র। হ্যাঁ, এ একরকম অসম্ভব ব্যাপারই ছিল বটে। কারণ রাজ্যের শাসক দলের বিধায়ক মদন মিত্রকে বহুবার বহু অনুষ্ঠানে দেখা গেলেও পাশে স্ত্রীকে কখনোই দেখা যায়নি। বরং দেখা মিলেছে অন্য সুন্দরীদের।
কিন্তু নিজের ঘরেই যখন রয়েছেন এমন সুন্দরী তখন আর অন্য কারোর প্রয়োজন কী? রচনার ডাককে তাই আর না করতে পারেননি কামারহাটির বিধায়ক। স্ত্রীকে নিয়ে তিনিও খেলতে চলে এসেছেন বাংলা টেলিভিশনের সবথেকে জনপ্রিয় গেম শো। সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার লাইভ বার্তাও দিয়েছেন অনুরাগীদের।
কী বললেন বাংলা রাজনীতির ‘কালারফুল বয়’। দিদি নাম্বার ওয়ানে আসতে পেরে আপ্লুত মদন মিত্র। বললেন, অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করে ছিলেন, রচনা কবে ডাকবেন। তাঁর নাকি অভিমানও হত। রাজনীতি করেন বলেই হয়তো এ মঞ্চে ডাক পান না। কিন্তু অভিমান করার আর সুযোগ দেননি রচনা।
https://www.instagram.com/p/CXecNLuoMft/?utm_medium=copy_link
সঞ্চালিকা কিন্তু মজা করতে ছাড়লেন না মদনের সঙ্গেও। তাঁর স্ত্রীকে রচনার প্রশ্ন, রোজ এত সুন্দরীদের দেখা যায় বিধায়কের পাশে। কিন্তু স্ত্রীকেই দেখা যায় না। কখনো ভয় হয় না তাঁর? অর্চনা দেবীর উত্তরেই প্রমাণ হয়ে গেল মদন মিত্রের যোগ্য স্ত্রীই তিনি। তাঁর ঝটিতি উত্তর, ‘যতই ঘুড়ি ওড়াও, লাটাই তো আমার হাতে’। স্ত্রীর উত্তর শুনেই মদনের প্রশংসা, ‘ও লাভলি!’
https://www.instagram.com/p/CXeeaMShxGJ/?utm_medium=copy_link
মদন মিত্রের সঙ্গে প্রতিযোগী হয়ে এসেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়ও। মাস কয়েক আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন তিনি। সঙ্গে রচনা শর্মাও। মজা করে জানালেন, রচনার রূপে মুগ্ধ হয়ে রচনা নামের মেয়েকেই খুঁজে খুঁজে বিয়ে করেছেন। এছাড়াও ছিলেন রাঘব চট্টোপাধ্যায় ও শিবাজি চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁদের স্ত্রীরা।
এদিনের কিছু ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন মদন মিত্র। দিদি নাম্বার ওয়ানের চড়ুইভাতি স্পেশ্যাল এপিসোডেই এসেছিলেন এই বিশেষ অতিথিরা। বড়দিনের ঠিক আগে আগে ২১ ডিসেম্বর দেখানো হবে এই এপিসোড।