মাত্র ১৭ বছরের মেয়ে ঘাম ছুটিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়ান সরকারের, অঞ্জলির প্রশংসা গোটা বিশ্বজুড়ে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ১৭ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত জলবায়ু কর্মী অঞ্জলি শর্মা (anjali sharma) বর্তমান সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় (australia) বেশ আলোচিত হয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শিশুদের ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ করে চলতি বিছর মে মাসে অস্ট্রেলিয়া সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেন অঞ্জলি।

অঞ্জলির করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ফেডারেল কোর্ট তাঁর পক্ষেই রায় দিয়েছে। যার ফলে অস্ট্রেলিয়া সরকার উচ্চ আদালতে আপিল করেছে। আর যদি এই মামলায় অঞ্জলি একবার জয়ী হয়ে যায়, তাহলে শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ান আইন নয়, বিশ্বজুড়ে জলবায়ু-সম্পর্কিত বিষয়ের উপর বিরাট প্রভাব পড়বে।

anjalisharma

অঞ্জলির সঙ্গে এই লড়াইয়ের অংশীদার হয়েছেন তাঁর ৭ জন তরুণ সহকর্মী। এছাড়াও তাঁর সঙ্গে ছিলেন বছর ৮৭-র ব্রিগিড আর্থার ক্যাথলিক সন্ন্যাসী, যিনি শিশুদের জন্য আইনী অভিভাবক হিসাবে কাজ করেছিলেন। নিউ সাউথ ওয়েলসের বিকারি কয়লা খনির সম্প্রসারণ বন্ধ করার জন্য তিনি বহুবার আবেদন করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান সরকারের কাছে। ধারণা করা হয়, ওই খনি সম্প্রসারণের ফলে বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত ১৭০ মিলিয়ন টন জীবাশ্ম জ্বালানী নির্গমন হয়।

এতকিছুর পরও অস্ট্রেলিয়ান সরকার সেপ্টেম্বরে বিকারি কয়লা খনির সম্প্রসারণে অনুমোদন দেয়। সেইসঙ্গে আরও ৩ টি কয়লা খনির কাজেই সবুজ সংকেত দেয়। আর অস্ট্রেলিয়া সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই আদালতের দারস্থ হয় অঞ্জলি শর্মা।

অ্যাডভোকেট ডেভিড বারডেন এই বিষয়ে অঞ্জলির পক্ষে বলেন, বিকারি খনির অনুমতি দেওয়ার বিষয়টা একটা হাস্যকর ব্যাপার।

উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউতে জন্মগ্রহণ করেন অঞ্জলি শর্মা। তারপর তাঁর মাত্র ১০ মাস বয়সেই তাঁকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া চলে যান তাঁর বাবা মা। ২০১৭ সাল থেকেই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন অঞ্জলি। মর্যাদাপূর্ণ চিলড্রেনস ক্লাইমেট অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত করা হয় তাঁকে সেপ্টেম্বরে। এবিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতে আমি আমার পরিবারকে জলবায়ু পরিবর্তন ও ভয়াবহ বন্যার প্রভাবে অনেক সমস্যায় পড়তে দেখেছি’।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর