ঝুঁকি ছাড়া জমা রাশি দ্বিগুণ করার সুবর্ণ সুযোগ, বাম্পার স্কিম পোস্ট অফিসের

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: বিনিয়োগ প্রক্রিয়াই হল সুরক্ষিত থাকার প্রকৃত উপায়। এর মাধ্যমে আপনি শুধু নিজের ভবিষ্যতের নয়, আপনার পরিবারের ভবিষ্যতও সুরক্ষিত করতে পারেন। বর্তমানে, আপনার সামনে ঝুঁকির তারতম্য মেনে একাধিক বিনিয়োগের অপশন উপলব্ধ রয়েছে। আপনার যদি বেশি ঝুঁকি নিতে সমস্যা না থাকে তবে আপনি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে আপনি যদি কোনওরকম ঝুঁকি ছাড়া নিজের প্রিয়জনদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে চান তবে আপনি পোস্ট অফিসে বিনিয়োগের কথা ভাবতে পারেন।

তবে এর একটি সমস্যা আছে। আপনার টাকা দ্রুত বেড়ে উঠবে না কারণ পোস্ট অফিসের পলিসিগুলির প্রত্যেকটিই দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ সংক্রান্ত। এই পলিসিগুলি তাদের জন্যই যারা দূরদর্শী এবং ঐতিহ্যগত বিনিয়োগ পছন্দ করে থাকেন। কিন্তু এই বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এতে সরকারের তরফ থেকে নিশ্চয়তা পাওয়া যায় অর্থাৎ ঝুঁকির পরিমাণ শূন্য। এছাড়াও আপনি যে পরিমাণ রিটার্ন জেনে বিনিয়োগে করছেন, ঠিক সেই পরিমাণ অর্থই রিটার্ন পাবেন।এই প্রতিবেদনে পোস্ট অফিসের যে পলিসিটির কথা আলোচনা করতে চলেছি সেটির নাম হলো কিষাণ বিকাশ পত্র।

   

এই স্কিমের সময়কাল ১২৪ মাস অর্থাৎ বছরের হিসাবে দশ বছরেরও বেশি। আপনি যদি এই স্কিমে পয়লা এপ্রিল ২০২০ থেকে ৩০ শে জুন ২০২০ সাল অবধি বিনিয়োগ করে থাকেন, তাহলে আপনার তাহলে আপনার জমা রাখা অর্থের পরিমাণ দ্বিগুন হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো যে কিষাণ বিকাশ পত্রে, আপনি ৬.৯ শতাংশ হারে চক্রবৃদ্ধি সুদ পাবেন। নিয়ম অনুযায়ী একজন ব্যক্তি কমপক্ষে ১০০০ টাকার বিনিয়োগে কিষাণ বিকাশ পত্র শংসাপত্র কিনতে পারেন। তবে সর্বনিম্ন লিমিটেশন থাকলেও এই স্কিমে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের কোনও সীমা নেই। আপনি নিজের ইচ্ছামত অর্থ যত বেশি সম্ভব এই কিষান বিকাশ পত্রের আওতায় রাখতে পারেন। শুরুতে শুধুমাত্র কৃষকদের জন্য হলেও বর্তমানে কৃষকদের সঙ্গে বাকিরাও এই কিষাণ বিকাশ পত্রে বিনিয়োগ করতে পারবেন।

post office a

তবে এই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার ৫০,০০০ এর বেশি টাকার ক্ষেত্রে ২০১৪ সালে প্যান কার্ড বাধ্যতামূলক করেছে৷ ১০ লক্ষ বা তার বেশি বিনিয়োগ করলে আপনাকে নিজের আয়ের উৎস দেখাতে হবে। আইটিআর, বেতন স্লিপ এবং ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টের পাশাপাশি পরিচয়পত্র হিসেবেও আধারও দেখাতে হবে গ্রাহক-কে।

  • প্রকারভেদ:
    ১. একক হোল্ডার টাইপ সার্টিফিকেট: এই ধরনের সার্টিফিকেট নিজের জন্য বা নাবালকদের জন্য কেনা হয়।
  • ২. জয়েন্ট এ অ্যাকাউন্ট সার্টিফিকেট: এটি দুই প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে যৌথভাবে জারি করা হয় এবং এটি উভয় হোল্ডারের জীবনকালে উভয়কে অর্থ কিংবা কেউ একজন মারা গেলে চুক্তিতে থাকা অপর গ্রাহককে অর্থ প্রদান করা হয়।
  • ৩. জয়েন্ট বি অ্যাকাউন্ট সার্টিফিকেট: এটি দুটি প্রাপ্তবয়স্কদের যৌথভাবে জারি করা হয়। উভয়ের মধ্যে অথবা যিনি জীবিত থাকেন তাকে অর্থ প্রদান করে

 

  • বৈশিষ্টসমূহ:
    ১. এই স্কিমে গ্যারান্টি সহ রিটার্ন পাওয়া যায়, মার্কেটের উত্থান পতনের সাথে রিটার্নের কোনো সম্পর্ক নেই।
  • ২. এতে, আয়করের ধারা আর্টিকল ৮০ সি-এর অধীনে কর ছাড় পাওয়া যায় না। এর উপর রিটার্ন সম্পূর্ণ করযোগ্য।
  • ৩. আপনি মেয়াদপূর্তি মাত্রই বিনিয়োগ করা টাকা তুলে নিতে পারেন। তবে বিনিয়োগের ৩০ মাসের মধ্যে টাকা তোলা সম্ভব নয়। তবে যদি এক অ্যাকাউন্টধারীর মৃত্যু হয় বা আদালতের নির্দেশ থাকে তবে টাকা তোলা সম্ভব।
  • ৪. আপনি কিষাণ বিকাশ পত্রকে জামানত হিসাবে রেখেও ঋণ নিতে পারবেন।
Avatar
Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর