বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের (sukesh chandrasekhar) সঙ্গে সম্পর্ক রাখায় কেরিয়ার বিপদে পড়েছে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ (jacqueline fernandez) ও নোরা ফতেহির (nora fatehi)। অভিযোগ উঠছে, এই দুই অভিনেত্রীই সুকেশের থেকে কোটি কোটি টাকার উপহার নিয়েছিলেন। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো জ্যাকলিনের সঙ্গে প্রতারকের কয়েকটি ঘনিষ্ঠ ছবিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।২০০ কোটি টাকার এই আর্থিক প্রতারণা মামলায় নতুন করে এনফোর্সমেন্স ডিরেক্টরেটের জেরার মুখে পড়েছেন নোরা, জ্যাকলিন।
এবার জানা গেল, একা এই দুই সুন্দরী নন। বলিউডের আরো কয়েকজন অভিনেত্রী ও পারফর্মার রয়েছেন ইডির নজরে। জানা যাচ্ছে, এই অভিনেত্রীরাও আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছিলেন সুকেশের থেকে। সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ডাকা হতে পারে অভিনেত্রীদের। তবে তালিকায় কার কার নাম রয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
ইতিমধ্যেই বার কয়েক ইডি আধিকারিকদের জেরার সম্মুখীন হতে হয়েছে নোরা ও জ্যাকলিন দুজনকেই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, দুই অভিনেত্রীকেই নাকি কোটি টাকার উপহার দিয়েছিলেন প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখর। কিন্তু প্রথম জেরায় দুজনেই বেমালুম গোপন করে গিয়েছিলেন সে কথা।
সূত্রের খবর, নিজের এক সহকারীকে কোটি টাকার ঘুষ দিয়ে জ্যাকলিনকে তিহার জেলে ডেকে পাঠিয়েছিলেন সুকেশ। আপাতত সেই সহকারী পিঙ্কি ইরানি ইডির হেফাজতে রয়েছেন। জ্যাকলিনকে ডেকে আনার জন্য নাকি নিজেকে অমিত শাহ বলে পরিচয় দিয়েছিলেন সুকেশ, যাতে অভিনেত্রী দেখা করতে আসেন।
সূত্রের খবর, ইডির জেরায় জ্যাকলিন জানিয়েছেন সুকেশ তাঁকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার লোন দিয়েছিলেন অভিনেত্রীর বোনের জন্য যে আমেরিকায় থাকে। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় জ্যাকলিনের ভাইয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও ১৫ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিলেন সুকেশ।
এখানেই শেষ নয়। প্রতারক ব্যবসায়ীর থেকে আরো বহুমূল্য উপহার হাতিয়েছেন জ্যাকলিন। তার মধ্যে রয়েছে একটি ঘোড়া, তিনটি নামী সংস্থার ডিজাইনার ব্যাগ, একটি ডিজাইনার জিমের পোশাক, নামী সংস্থার একজোড়া জুতো, হীরের কানের দুল এবং বিভিন্ন রঙের পাথরের বানানো একটি ব্রেসলেট। প্রতারক ব্যবসায়ীর থেকে একটি বিলাবহুল গাড়িও নিয়েছিলেন জ্যাকলিন। যদিও পরে তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এই সব কিছুর টাকা প্রতারণার মাধ্যমেই জোগাড় করা হয়েছিল বলে খবর।