বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিতর্কিত পানামা পেপার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে (aishwarya rai bachchan) ডেকে পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জামনগর দফতরে টানা ছয় ঘন্টা ধরে জেরা করা হয়েছে বচ্চন পরিবারের বধূকে। এদিন অভিনেত্রীর বয়ান রেকর্ড করেন তদন্তকারী অফিসাররা। তাঁর বিরুদ্ধে ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট বা FEMA আইন অমান্য করে বিদেশে সম্পত্তি গচ্ছিত রাখার অভিযোগ উঠেছে।
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে কয়েকটি প্রশ্ন প্রকাশ্যে এসেছে যা সম্ভবত ঐশ্বর্যকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ইডি আধিকারিকদের তরফে। ২০০৫ সালে ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসে অ্যামিক পার্টনার্স নামে একটি সংস্থার পত্তন হয়েছিল। এই সংস্থার সঙ্গে ঐশ্বর্যর কি কোনো যোগাযোগ রয়েছে? এই কোম্পানির ডিরেক্টর পদে ঐশ্বর্য ছাড়াও রয়েছে তাঁর প্রয়াত বাবা, মা ও ভাইয়ের নামও। এই বিষয়ে কী বক্তব্য রয়েছে অভিনেত্রীর?
উল্লেখ্য, প্রথমে কোম্পনির মূলধন ছিল ৫০ হাজার ডলার। ১ ডলার করে প্রত্যেক ডিরেক্টরের কাছে ১২ হাজার ৫০০ শেয়ার ছিল। ডিরেক্টর পদ থেকে হঠাৎ শেয়ার হোল্ডার পদে কেন এলেন ঐশ্বর্য? প্রশ্ন রাখা হয়েছিল ইডির তরফে। ২০০৮ সালে আচমকা কোম্পানিটি বন্ধ করে দেওয়া হয় কেন? আর্থিক লেনদেনের জন্য রিসার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অনুমতি কি নেওয়া হয়েছিল? এসব প্রশ্নই করা হয়েছিল ইডির তরফে।
উল্লেখ্য, পানামা পেপার হল প্রায় ১ লক্ষের বেশি সংখ্যার গোপন পেপার যা চুরি করে সংবাদ মাধ্যমে ফাঁস করে দেওয়া হয়েছিল ২০১৬ সালে। এই পেপার থেকে জানা গিয়েছিল, বিশ্বের তাবড় ধনী ব্যক্তিত্বরা তাদের সম্পত্তি বিদেশের ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রাখে আয়কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য। এই তালিকায় ছিল রাজনীতিবিদ থেকে তারকাদের নামও। প্রায় ৩০০ জন ভারতীয়ের নাম উঠে এসেছিল এই তালিকায়।
এর আগে দু দুবার সমন থেকে বাঁচতে বেশি সময় চেয়ে নিয়েছেন ঐশ্বর্য। উল্লেখ্য, পানামা পেপার মামলায় বচ্চন পরিবারের নাম থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার কথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ঐশ্বর্যর ইডি সমনের পর মামলা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা নিয়েই চলছে জল্পনা।