বাংলাহান্ট ডেস্ক: আজ বলিউডের ‘হিরো নাম্বার ওয়ান’ এর জন্মদিন। ৫৮ তে পা দিলেন গোবিন্দা (govinda)। অভিনয়ে হাস্যরসের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অনবদ্য নাচের দক্ষতাতেও মজেছিল নব্বইয়ের দর্শকরা। ফিল্মি দুনিয়া থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে নিলেও জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েনি গোবিন্দার। ইন্ডাস্ট্রির সফলতম অভিনেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
এই পরিচয়টা তৈরি করতে খাটতে হয়েছে গোবিন্দাকে। জন্মের পর থেকেই অর্থাভাব দেখে বড় হয়েছেন তিনি। তথাকথিত বস্তির বাসিন্দা থেকে আজ কোটিপতি গোবিন্দা। কিন্তু তাঁর জন্মের আগে থেকেই দুঃসময় সঙ্গী ছিল সংসারের। একটা সময় খাবার জোটানোও দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছিল তাঁদের পরিবারের কাছে।
সে সময়কার স্মৃতি রোমন্থন করে গোবিন্দা জানিয়েছিলেন, মুদির দোকানে জিনিস কিনে পয়সা দেওয়ার মতো অবস্থা ছিল না তাঁদের। দোকানে গেলে দোকানদার ইচ্ছা করে তাঁকে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড় করিয়ে রাখত। শেষে ছোট্ট গোবিন্দা বেঁকে বসেন যে আর দোকানে যাবেন না। সংসারের দৈন্যদশা দেখে ডুকরে কেঁদে উঠেছিলেন তাঁর মা। মাকে কাঁদতে দেখে চোখে জল চলে এসেছিল ছোট্ট গোবিন্দারও।
অভিনেতা জানান, একসময় তিনি অস্কার জেতার স্বপ্ন দেখতেন। লোকে হেসে কটাক্ষ করত, ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন! ঠিক করে ইংরেজিই যে বলতে পারে না সে কিনা আবার অস্কার পাবে! কিন্তু গোবিন্দার কথায়, “শূন্য থেকে আমি গোবিন্দা হতে পেরেছি। তাহলে গোবিন্দা থেকে আমি নিশ্চয়ই কিছু হব।”
অস্কার জেতার স্বপ্নপূরণ না হলেও বলিউডে নিজের জায়গা কায়েম করতে পেরেছিলেন অভিনেতা। আশি ও নব্বইয়ের দশকে সুপারস্টারের তকমা পেয়েছিলেন তিনি। আঁখে, রাজা বাবু, হিরো নাম্বার ওয়ান, বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁর মতো জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন বলিউডকে।
শোনা যায়, আনুমানিক ১৩৫ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক গোবিন্দা। এক একটি ছবির জন্য ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন তিনি। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে বছরে প্রায় ১২ কোটি টাকা আয় হয় গোবিন্দার। ৩ টি বাংলোর সঙ্গে একাধিক বিলাসবহুল গাড়িও রয়েছে অভিনেতার।