তৃণমূলের সাফল্যের পেছনে রয়েছে তাঁরই পরিশ্রম, কলকাতা পুরভোটের ফল প্রকাশ হতেই মুখ খুললেন শোভন

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একটা সময়ে ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) একজন বিশ্বস্ত সৈনিক। ২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ছিলেন কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র। কিন্তু মাঝপথে সবুজ ছেড়ে গেরুয়া দলে মিশেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্য়ায় (Sovan Chatterjee)।

তবে নিজের চেনা ঘর ছেড়ে নতুন সংসারে পা রাখলেও, সেখানের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি শোভন চট্টোপাধ্য়ায়। এরই মধ্যে আবার একদিকে স্ত্রী, আর অন্যদিকে বান্ধবী- এই দুইয়ের টানাপোড়েনে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানও টালমাটাল হয়ে পড়ে। তবে বর্তমান সময়ে অবশ্য শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে তাঁর রাজনৈতিক জীবন, কোনকিছুই অজানা নেই কারো কাছে। সবটাই একটা খোলা পাতার মতন।

1623840126 12 1

মঙ্গলবারই প্রকাশিত হয়েছে কলকাতা পুরভোটের ফলাফল। আর সেখানে দেখা গিয়েছে সবুজ ঝড়ের কাছে ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারেনি বিরোধীরা। ১৪৪ টি আসনের মধ্যে ১৩৪ টিতেই জয়লাভ করেছে তৃণমূল শিবির। আর এই বিষয়কে নিজের তৈরি করা রাস্তা বলেই দাবি করলেন কলকাতা পৌরনিগমের প্রাক্তন মেয়র।

এক সাক্ষাৎকারে শোভন চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, ‘মেয়র থাকাকালীন যে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করেছিলাম, আজ তারই ফল পাচ্ছে তৃণমূল। আমার আমলে নেওয়া প্রকল্পগুলি রূপায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েই তৃণমূল এগিয়ে চলেছে। সেই সময় প্রকল্পগুলোর কাজ আর দ্রুতগতিতে করতে হত’।

তিনি আরও দাবি করেন, ‘একটা সময় আমার প্রাণ সংশয় হওয়ার কারণে তৃণমূল সুপ্রিমোর কথা মত বাড়ি ছেড়েছিলাম। কিন্তু এখনও তা কাটেনি। আমার বিরুদ্ধে করা হাজারো ষড়যন্ত্রের মাঝে এখনও বেঁচে আছি আমি’।

কলকাতার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার শোভন চট্টোপাধ্য়ায়। আর সেখানেই এবার তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন শোভন পত্নী রত্না চট্টোপাধ্য়ায়। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে এবছর এমন কোন প্রার্থী ছিলেন না, যাকে ভোটটা দেওয়া যায়’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর