বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও, বক্তব্য পেশের সুযোগ দেওয়া হয়নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। স্বাধীনতার ‘অমৃত মহোৎসব’ পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা বৈঠকে বক্তব্য পেশের সুযোগ না পেয়ে এবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা ঋষি অরবিন্দের জন্মবার্ষিকী বিষয়ক বৈঠকেও অংশ নেবেন না বলে সরাসরি জানিয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
এপ্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গতকালপূর্ব এবং উত্তর-পূর্বের ভাগ থেকে কাউকে বলতে দেওয়া হয়নি। স্বাধীনতার পীঠস্থান, জন্মভূমি, মাতৃভূমি হচ্ছে বাংলা। আর মিটিং-এ ৩ ঘন্টা ঘরে বসে থাকার পরও বাংলাকে কিছু বলতে দেওয়া হল না। নবজাগরণ থেকে একেবারে স্বাধীনতা সংগ্রাম, ন্যাশনাল অ্যানথেম থেকে ন্যাশনাল সং- সবটাই বাংলার। সেই সময় আন্দোলনকারীদের বেশিরভাগের নাম দেখা যাবে আন্দামান সেলুলার জেলে। এত বেশি রাজনীতি আমার সঙ্গে করাটা ঠিক নয়’।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কাল বলতে দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রকে জানিয়ে দিও, ঋষি অরবিন্দকে নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই অনেক অনুষ্ঠান শুরু করে দিয়েছি। কেন্দ্রকে বাদ দিয়েই বছরভর রাজ্যে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হবে। কিছু করতে একটা বাজেটের প্রয়োজন। কিন্তু কেন্দ্র আমাদের একটা টাকাও দেয়নি এবিষয়ে। আর্থিক সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে যা করার আমাদেরকেই করতে হবে’।
এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে কথা না বলতে দেওয়ায় নিন্দায় মুখর হন শিল্পী যোগেন চৌধুরী, অজয় চক্রবর্তী, জয় গোস্বামী, সুবোধ সরকার, সুরঞ্জন দাস, সোনালী চক্রবর্তী, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, দিলীপ মহারাজ-সহ মন্ত্রী ও শীর্ষ আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নিজের মতাদর্শের স্বার্থে ইচ্ছেমতো ইতিহাসকে বিকৃত করা যায় না। কখনই ইতিহাসকে বদলানো যায় না’।