জেলবন্দি রাজমিস্ত্রিকে চোখে হারাচ্ছেন বালির পলাতক গৃহবধূ, বললেন ‘ওকেই ভালোবাসি’

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘অপহরণ নয়, ভালোবেসেই ঘর ছেড়েছিলাম, শেখরকে আমি ভালোবাসি’- এমনটাই দাবি করলেন বালি থেকে পলাতক দুই গৃহবধূর মধ্যে একজন। অন্যজন চুপচাপ থাকলেও, বাড়ির বউদের এহেন আচরণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কর্মকার পরিবার। সন্তানকে ফিরিয়ে নিলেও, স্ত্রীদের ফেরাতে নারাজ তাঁদের স্বামীরা।

সম্প্রতি বাড়িতে কাজ করতে আসা দুই রাজমিস্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করে একই সঙ্গে বাড়ি ছেড়েছিলেন একই বাড়ির দুই বউ রিয়া কর্মকার ও অনন্যা কর্মকার। সঙ্গে আবার নিয়ে গিয়েছিলেন রিয়ার সাত বছরের ছেলে আয়ুশকেও। বাড়িতে থেকে গোপনেই প্রেমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এই দুই জা। কিন্তু প্রেমিকদের সঙ্গে পালিয়ে গেলে, অর্থের টানাটানিতে ফিরে আসতেই তাঁদের আসানসোল স্টেশন থেকে পাকড়াও করে নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ।

bvjbvbvbv

এই বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে কর্মকার বাড়ির বউ অনন্যা কর্মকার জানান, বছর আটেক আগে বিয়ে হওয়ার পর সেভাবে স্বামীকে কাছে পাননি। কাজের সূত্রে স্বামী বেশিরভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকায় নিঃসঙ্গতা অনুভব করতেন। যার কারণে বাড়িতে কাজ করতে আসা রাজমিস্ত্রির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। অন্যদিকে রিয়া কর্মকার জানান, ১০ বছর আগে বিয়ের পর এক সন্তানের জন্ম হলেও, স্বামী ঠিক মত সময় দিতে পারতেন না। যে কারণেই মন যায় বাড়িতে আসা মিষ্টিভাষী রাজমিস্ত্রির দিকে।

হাওড়ার নিশ্চিন্দা আনন্দনগর এলাকার দুই গৃহবধূর এই কেসে দুই গৃহবধূ এবং তাঁদের সাত বছরের সন্তানকে অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে দুই রাজমিস্ত্রির উপর। যার কারণে হাওড়া জেলা আদালত, বৃহস্পতিবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে সুভাষ ও শেখরকে।

এপ্রসঙ্গে মামলার সরকারি আইনজীবী তারাগতি ঘটক জানান, ‘মহিলা দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও ৩৬৫ ও ৩৬৬ ধারায় অপহরণ মামলা দায়ের হয়েছে দুজন রাজমিস্ত্রির বিরুদ্ধে। খারিজ হয়ে যায় জামিনের আবেদনও। তাঁদের ১০ দিনের জেল হেফাজত দেওয়া হয়েছে। এরপর তাঁদের আবার ৬ ই জানুয়ারি আদালতে পেশ করা হবে। এমনকি আদালত তাঁদের গোপন জবানবন্দিও নিয়েছে’।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর