বাংলাহান্ট ডেস্ক: একের পর এক বিষ্ফোরক মন্তব্য করে চলেছেন উরফি জাভেদ (urfi javed)। অতি সম্প্রতি নিজের ধর্মের ব্যাপারে বেশ বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তিনি। নিজে মুসলিম ধর্মাবলম্বী হয়েও উরফি জানিয়েছেন তিনি ইসলামে বিশ্বাসী নন। কোনো মুসলিম পুরুষকে তিনি বিয়েও করবেন না কারণ তারা মহিলাদের নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। বিষয়টা হজম হতে না হতেই ফের বিষ্ফোরণ উরফির। জানালেন, বলিউডে কাস্টিং কাউচের শিকার হয়েছেন তিনি।
উরফির মতে, বলিউডে পুরুষরা অনেক ক্ষমতাশালী। তারা যে কোনো সময় যে কাউকে প্রত্যাখ্যান করতে পারে। ইন্ডাস্ট্রির একাধিক বড় মাথা জড়িয়ে রয়েছে এই কাস্টিং কাউচের সঙ্গে। কিন্তু তাদের নাম বলতে অস্বীকার করেন উরফি। তিনি জানান, মাত্র ১৭ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান তিনি। খরচ চালানোর জন্য এক সময় কল সেন্টারেও কাজ করেছেন উরফি। কিন্তু এক মাসের বেশি টিকতে পারেননি।
অভিনেত্রী হওয়ার জন্য মুম্বই এসেছিলেন তিনি। কিন্তু প্রথম দিকে একেবারেই কাজ পেতেন না। টিভি সিরিয়ালে ছোটখাট চরিত্র দিয়েই খুশি থাকতে হত তাঁকে। ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য পরিশ্রম করছিলেন উরফি। মাত্র তিন হাজার টাকা পারিশ্রমিক ছিল তাঁর। আরো ছয় জন মহিলার সঙ্গে থাকতেন পেয়িং গেস্ট হিসেবে। সে সময়েই একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের প্রস্তাব পান উরফি।
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, তাঁকে ওয়েব সিরিজটি সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি প্রথমে। প্রথম দিনের শুটিংয়েই তাঁকে দিয়ে একটি অশ্লীল দৃশ্যের শুট করানো হয়েছিল। প্রযোজক বলেছিলেন তাঁর শাড়ি আরো খোলামেলা করতে, যাতে অন্তর্বাস পর্যন্ত দেখা যায়।
এখানেই শেষ নয়, উরফি অভিযোগ করেন তাঁর অনুমতি ছাড়াই তাঁকে দিয়ে একটি সমকামীর দৃশ্য করিয়েছিলেন প্রযোজক। তাঁর অনেক কান্নাকাটি সত্ত্বেও মন গলেনি কারোর। প্রযোজক নাকি তখন তাঁকে হুমকি দিয়েছিলেন হয় তিনি যেহেতু চুক্তিপত্রে সাক্ষর করেছেন তাই এখন বেঁকে বসলে তাঁকে জেলে পাঠানো হবে নয়তো ৪০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এই ঘটনার পর থেকে আর ওই সেটে ফেরত যাননি উরফি। এমনকি উরফি জানান, এখনো প্রচুর প্রত্যাখ্যান শুনতে হয় তাঁকে। তাঁর পোশাক নিয়ে ট্রোলের জন্য ডিজাইনাররাও কাজ করতে চান না তাঁ সঙ্গে।
তৃণমূলের গৃহযুদ্ধ! কল্যাণের ‘মাথায় কার হাত!’ মন্তব্যের পাল্টা দিলেন তৃণাঙ্কুর