বাংলাহান্ট ডেস্ক: স্বামীরা নাকি সময় দিতেন না, এমনি অভিযোগে দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে ঘর ছেড়ে পালিয়েছিলেন একই বাড়ির দুই বৌ। বাড়িতে কাজ করতে আসা রাজমিস্ত্রিদের হাত ধরে অন্য রাজ্যে পালিয়ে গিয়েছিলেন বালির একই বাড়ির দুই জা। যদিও পুলিসে অভিযোগ জানানোয় আসানসোল স্টেশন থেকে ধরে আনা হয় তাঁদের।
ঘটনায় দুই রাজমিস্ত্রির জেল হয়েছে। অভূতপূর্ব এই ঘটনায় রীতিমতো ঢি ঢি পড়ে গিয়েছে নেটপাড়ায়। কিন্তু অন্য সুর শোনানো গেল পর্দার ‘জুন আন্টি’ অর্থাৎ অভিনেত্রী উষসী চক্রবর্তীর (ushasie chakraborty) কণ্ঠে। দুই রাজমিস্ত্রির আইনি সাজা হওয়ার ব্যাপারে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘কদিন ধরে দেখে শুনে মনে হচ্ছে বাড়ির বউ প্রেম করে পালিয়ে যাওয়া থেকে আর বড় কোনও ক্রাইম আশে পাশে ঘটেনি । আর আমার আইনের জ্ঞান এত তীব্র নয়, কিন্তু একটা কথা বুঝতে পারছি না দুজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রেম করেছেন একজন তার মধ্যে বিবাহিত । তারপর তারা পারস্পরিক সম্মতিতে গৃহত্যাগ করেছেন।
এটা কি কোনও শাস্তি যোগ্য অপরাধ? নাকি গরিব রাজমিস্ত্রি বলেই আমাদের মধ্যবিত্ত আত্মসম্মানে বেশি ঘা লেগেছে, বড়লোক হলে ওটা ওদের ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে এড়িয়ে যেতাম। মানে মোদ্দা কথা আমি ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারছি না । আপনারা বুঝলে জানান…’।
সাধারনত উষসীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সমর্থন করতেই দেখা যায় নেটনাগরিকদের। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নেটমাধ্যমে মতামত প্রকাশ করেন তিনি। পাশে পান অনুরাগীদেরও। কিন্তু এ ব্যাপারে সমর্থনের থেকে ট্রোলই বেশি হয়েছেন উষসী।
একজন লিখেছেন, ‘ওই দুই মহিলা যেটা করেছেন, সেটাকে আমাদের সমাজে “পরকীয়া” বলে। নিজের স্বামীকে ঠকিয়ে অন্য পুরুষের সঙ্গে তারা পালিয়ে গেছে। দুজন প্রাপ্তবয়স্ক, প্রেম করতেই পারে। কিন্তু নিজের স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার পর করলে কেউ কিচ্ছু বলত না। আপনি হয়তো জানেন না, একটা পরকীয়া সম্পর্ক কতগুলো জীবন নষ্ট করতে পারে। বাচ্চাটার কী দোষ ছিল? তার মা অন্য একজন পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। এটার প্রভাব তার ওপরে কীভাবে পড়তে পারে তা আপনি ভেবেছেন? আপনারা পাব্লিক ফিগার। বলার আগে একবার অন্তত ভাবুন যে কী বলছেন।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘কারোর কাউকে ভালোবাসা অপরাধ নয়। কিন্ত অপরাধীর মত পালানোর দরকার কি ছিল??? আইন মেনে বিবাহ বিচ্ছেদ করে গেলে তো কারোর কিছুই বলারই থাকত না।’ তবে বিষয়টা নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করেননি ঊষসী।