বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানের (Pakistan) সবথেকে সফল অধিনায়ক ইমরান খান (Imran Khan) বিশ্বের (World) সেই ৫ বোলারের (Bowler) মধ্যে নাম তুলেছেন, যারা নিজের কেরিয়ারে একটিও নো বল করেন নি। ইমরান খান ১৯৮২ সালে পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের (Pakistan National Cricket Team) অধিনায়ক হন। ইমরানের অধিনায়কত্বে পাকিস্তান তাঁদের একমাত্র বিশ্বকাপ ১৯৯২ সালে জয় করেছিল। উনি পাকিস্তানের জন্য ৮৮টি টেস্ট ম্যাচে ৩ হাজার ৮০৭ রান করেন আর ৩৬২টি উইকেট নেন।
এই তালিকায় রয়েছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন কিংবদন্তি অলরাউন্ডার ইয়ান বোথাম। উনি নিজের ১৬ বছরের ক্রিকেট জীবনে একটিও নো বল করেন নি। বোথাম ১০২টি টেস্ট ম্যাচে ৩৮৩টি উইকেট নিয়েছেন এবং বয়াটে ৫ হাজার ২০০ রানও করেছেন। এছাড়াও ১১৬টি ওয়ানডে ম্যাচে বোথাম ২ হাজার ১১৩ রান করেছেন ও ১৪৫টি উইকেট নিয়েছেন।
এই তালিকায় রয়েছেন আরেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার (Cricketer) ডেনিস লিলি। উনি নিজের ক্রিকেট জীবনে একটিও নো বল করেন নি। উনি ৭০টি টেস্ট ম্যাচে ৩৫৫টি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার জার্সি গায়ে তিনি ৬৩টি এক দিবসিয় ম্যাচ খেলেছেন। সেখানে উনি ১০৩টি উইকেট নিয়েছিলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন কিংবদন্তি ক্রিকেটার ল্যান্স গিবসও নিজের কেরিয়ারে একটিও নো বল করেন নি। এই অফ স্পিনার ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৭৯টি টেস্ট আর ৩টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। তিনি মোট ৩১১ উইকেট নিয়েছেন। নো বল না করা বিশ্বের একমাত্র স্পিনারের খেতাব তিনিই অর্জন করেছেন।
ভারতকে (India) ১৯৮৩-র বিশ্বকাপে প্রথমবার জয়ের স্বাদ এনে দেওয়া কিংবদন্তি অলরাউন্ডার কপিল দেবও (Kapil Dev) নিজের কেরিয়ারে একটিও নো বল করেন নি। কপিল ভারতের (India National Cricket Team) হয়ে ১৩১টি টেস্ট আর ২২৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। উনি এই দুই ধরণের ফরম্যাটে ৫২৪৮ আর ৩৭৮৩ রান করেছেন। পাশাপাশি টেস্টে ৪৩৪টি আর ওয়ানডে-তে ২৫৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। তবে, কপিল দেবের নো বলের ইতিহাস নিয়ে কিছুটা বিতর্কও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অনেকের মতেই, উনি নিজের কেরিয়ারে নো বল করেছিলেন।